বাংলা হান্ট ডেস্ক : মধ্য প্রদেশের বেতুল জেলার আথনার তহশিল এর অন্তগর্ত একটি পরিবার। এই পরিবারে অভাব রয়েছে প্রবল। সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে জিনগত সমস্যা। আর এই দুই সমস্যায় জেরবার হয়ে অতিকষ্টে দিন কাটাচ্ছে তহশিলের এই দরিদ্র পরিবার। ২৫ জন সদস্য নিয়ে এই পরিবার। তাঁদের প্রত্যেকের সমস্যাটা এক। গোটা পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের হাতের ও পায়ের আঙুলের সংখ্যা দশের বেশি। কারও হাতে আঙুলের সংখ্যা ১২ তো পায়ে আঙুলের সংখ্যা ১৪! আর এর জেরে ক্ষতিগ্রস্ত তাঁদের পড়াশোনা। পাশাপাশি তারা কোনও কাজও পাচ্ছেন না । তা থেকে পরিত্রাণের জন্য তাঁরা সরকারি সাহায্য চাইছেন।বলদেব ইয়ালে নামের ওই পরিবারের এক প্রবীণ সদস্য এক সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, ‘‘আমার বাচ্চারা স্কুলে যায়। কিন্তু শিক্ষা শেষ করতে পারে না। হাতে-পায়ের সেই সমস্যার জন্য স্কুলের অন্য ছাত্ররা তাঁদের উত্যক্ত করে। আমরা সরকারের সাহায্য চাই। আমাদের কোনও জমি নেই। আমরা খুব গরিব।’’
বলদেবের ছেলে সন্তোষ ইয়ালে জানিয়েছেন এই শারীরিক সমস্যার জন্য হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়ালেও কাজ পাচ্ছেন না। সন্তোষ বলেছেন, সাধারণ চটি তাদের পায়ে হয় না। দশম শ্রেণির পর তিনি আর পড়তেও পারেননি। একবার তিনি আর্মির পরীক্ষাতেও বসেছিলেন। কিন্তু শারীরিক পরীক্ষায় বাতিল হয়ে যান। তার হাতে ১২টি ও পায়ে ১৪টি আঙুল রয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েত থেকেও তারা কোনো সাহায্যই পান না।তবে শারীরিক প্রতিবন্ধকতার জন্য তাদের বেঁচে থাকার লড়াই কঠিন হলেও, ইয়ালে পরিবার ওই এলাকায় বেশ পরিচিত । তাঁদের দেখতে আশেপাশের এলাকা থেকে প্রায়শই অনেক লোক এসে থাকেন।