বাংলা হান্ট ডেস্কঃএক অমানবিক ও অ-গণতান্ত্রিক ঘটনার সাক্ষী হয়ে থাকল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। আজ বৃহস্পতিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি) (ABVP) এর একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গেছিলেন, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। সেখানে ওনার উপর অশিক্ষিতদের মতো হামলা করে যাদবপুরের শিক্ষিত কমিউনিস্ট ছাত্র সংগঠন SFI এর কর্মীবৃন্দরা।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র নিরাপত্তা বলয় ভেঙে ওনার উপরে হামলা করা হয়। ছিঁড়ে দেওয়া হয় ওনার জামার কলার। শুধু তাই নয়, ওনার মাথার চুল ধরেও টানা হয়। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। আজ যাদবপুরের এই ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছেন বাম নেতারাও। বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী এই ঘটনার নিন্দা করে বলেন, ‘ কোন জন প্রতিনিধিকে কালো পতাকা দেখা যেতেই পারে। এটা গণতন্ত্রের অধীনে পড়ে। কিন্তু ওনাকে মারধর করা এবং ওনার কলার ছিঁড়ে দেওয়া একদমই সমর্থন যোগ্য না। প্রতিবাদের একটা ধরণ আছে, আর এটা সেই ধরণের মধে পড়েনা।”
জওহর লাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কানহাইয়া কুমারের নেতৃত্বে দেশ বিরোধী স্লোগান দেওয়ার পর থেকে বারেবারে শিরোনামে উঠে আসার চেষ্টা করেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাম ছাত্র সংগঠন গুলো। কাশ্মীরের আজাদি চিয়ে রাস্তায় নেমে বাম ছাত্র সংগঠনের দেশ বিরোধী স্লোগান হোক, আর চুমু এবং ব্রা-আন্দোলনই হোক। তাঁরা কোন একটা কাণ্ড করে যে করেই হোক শিরোনামে টাকার চেষ্টা করেছে। এমনকি মুখে বারবার গণতন্ত্রের বুলি আওড়ানো বামেরা। যাদবপুরের ক্যাম্পাসে ‘বুদ্ধা ইন এ ট্র্যাফিক জ্যাম” সিনেমার প্রদর্শনীতে হামলা চালিয়ে সেদিনই বুঝিয়ে দিয়েছিল যে, তাঁরা যেটা করবে সেটাই গণতন্ত্র। আর তাঁদের বিরোধিতা করলেই আপনি অগণতান্ত্রিক হয়ে যাবেন।
বাবুল সুপ্রিয় শুধুমাত্র বিজেপির একজন নেতা অথবা সাংসদ না, উনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও। আর ওনার উপরে হামলা করে যাদবপুরের ছাত্র সংগঠন গুলো বুঝিয়ে দিয়েছে যে, তাঁরা মানুষ দ্বারা নির্বাচিত জন প্রতিনিধিদের সন্মান দেবেন না। এই ঘটনার খবর পেয়েই ছুটে আসলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে হেনস্তার ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের।