উদয়ন বিশ্বাস, বাংলাহান্ট- আজ কলকাতার অন্যতম নামি বিশ্ববিদ্যালয়ের উজ্জ্বলতম যে মুখ হিসেবে সারা বাংলা তথা ভারতবর্ষের বুকে দীর্ঘদিন নাম করে আসছিল, সেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ অনুষ্ঠানে গেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়।
এবিভিপি পক্ষ থেকে যারা এ বছর ভর্তি হয়েছে নতুন স্বপ্ন এবং বাস্তবের লক্ষ্যে তাদের কে শুভেচ্ছা জানাতে গেয়েছিলেন। সংগঠনের ছেলেরা-মেয়েরা এবং ছিলেন বিজেপির অগ্নিমিত্রা পল এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। বিগত বছরে তিনি কেন্দ্রের মন্ত্রী ছিলেন কিন্তু তাকে যেভাবে নোংরামি করল সিপিএমের ছাত্রসংগঠন, তার জন্য ধিক্কার জানিয়েছেন বিজেপি। এর প্রতিবাদে সারা রাজ্য জুড়ে এবিভিপি আন্দোলন করবে বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে ছাত্র-ছাত্রীদের নতুন জীবন গড়ার ডাক দিয়েছেন অগ্নিমিত্রা পল, তিনি বলেন আমি এই কলেজের প্রাক্তন ছাত্রী ছিলাম। আমাকে কোনদিন এই দৃশ্য দেখতে হবে আমি কল্পনাও ভাবিনি কিন্তু যারা এই নোংরা ও জঘন্য তম কাজ করলো তার জন্য তিনি ধিক্কার জানিয়েছেন। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় বলেন আমাকে প্রথমে ধিক্কার জানানো হয় তারপরে আমাকে ছাত্ররা চড়-ঘুষি মারে এবং চুলের মুঠি ধরে তাকে আনা হয়। সেই সময় উপস্থিত ছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ। বাবুলের এর প্রতিবাদে সরব হয়েছেন তৃণমূলও। বাবুল সুপ্রিয় চশমা খুলে নেয়া হয় কিন্তু তিনি একটুও ছাত্রদের উপরে কোন রকম রেগে না গিয়ে তিনি বলেন যেভাবে ছাত্ররা এই জঘন্যতম কাজ করলো তার তিনি তীব্র নিন্দা করেন। যারা নতুন ছাত্র তাদেরকে দেশ গড়ার ডাক দেন।
অবশেষে ভারত মাতা কি জয় বলে অনুষ্ঠান সমাপ্ত করা হয় কিন্তু এর মধ্যেই বাবুল সুপ্রিয় কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তাই তিনি জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পান, সেই নিরাপত্তা কর্মীর থেকে কার্তুজ খুলে নেয় ছাত্র সংগঠন এবং নিচে ফেলে গন্ডগোল করার চেষ্টা করে। এই বাম ছাত্র সংগঠন আবারও তারা যাদবপুর শিক্ষাগত দিক থেকে এগিয়ে থাকলেও এই ছাত্র সংগঠন বারবারই তাদেরকে কালিমালিপ্ত করেছে এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে অরাজকতা সৃষ্টি করেছে এই বাম সংগঠন ছাত্র সংগঠন।
এই জঘন্যতম কাজ কে ধিক্কার জানিয়েছেন সমাজের এক শ্রেণীর মানুষ হঠাৎ কেন বাবুল সুপ্রিয় ঘুষি মারা হলো? বাবুল সুপ্রিয় তার জবাবে তাদেরকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। এইরকম মনোভাব এরপরেও বাম ছাত্র সংগঠন তারা দাবি করেছেন যে তাদেরকে নাকি মারার চক্রান্ত করা হয়েছে। এই মিথ্যে চক্রান্তের বিরুদ্ধে সমাজের প্রতিটি মানুষ প্রতিবাদ করেন এবং তীব্র প্রতিবাদ জানাবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে এবিভিপি।
এই মুহূর্তে তাদের যে কর্মসূচি ছিল সেই কর্মসূচি পূর্ণ করেছে এবিভিপি। বাবুল সুপ্রিয় কে যেভাবে আঘাত করা হলো তার প্রতিবাদে আগামীদিন সারা বাংলায় তারা কলেজে কলেজে বিক্ষোভ দেখাবে। এই মুহূর্তে কার্যত বাংলা থেকে দিশাহীন বামফ্রন্ট। একটাও লোকসভা ভোটের আসন তারা পায়নি কিন্তু তারা সারাক্ষণ আন্দোলনের রূপরেখা দেখিয়ে যাচ্ছে। কখনো কখনো সামনে রেখে বাংলা রাজনীতি করছে। যারা কোনদিন মূর্তি পূজা বিশ্বাস করে না, যারা কোনদিন ধর্ম প্রাধান্য দেয় না, দেশকে কোন প্রাধান্য দেয় না। সেই রকম একটি সংগঠন সারাক্ষণ বিরোধিতার আন্দোলনে তারা সর্বপ্রথম। বেশ কয়েক বছর আগে মুখ্যমন্ত্রী তাদের আন্দোলন কে যখন লাঠিচার্জ করেছিল সেই আন্দোলনকে সমর্থন করেছিল সর্বত্রই কারণ সেই আন্দোলনের কে পুলিশ ছাত্র-ছাত্রীদের লাঠিচার্জ করা হয়েছিল। সেই পরিপ্রেক্ষিতে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল সাইটে পোস্ট করেন মদ গাঁজা চরস বন্ধ, তাই কি আজ প্রতিবাদের গন্ধ। সেই রেশ কাটাতে মুখ্যমন্ত্রী কিন্তু অবশেষে যাদবপুরে যান এবং ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি মেনে নেন সেই উপাচার্যকে যত নোংরামি ব্যবহার করেন বামছাত্র সংগঠন।
কেন্দ্রীয়মন্ত্রী কে কোন কোন কারণ ছাড়া কোন বিনা অনুমতিতে তাদেরকে যেভাবে আঘাত করল তার নিন্দা জানায় সর্বস্তরের মানুষ। এরা কোনদিন সমাজের ছাত্র সংগঠনের দৃষ্টান্ত হতে পারে বলে মনে করা হয়।