বাংলা হান্ট ডেস্ক: ‘হিন্দি দিবসে’ বিজেপির রাজ্য সভাপতি অমিত শাহ মন্তব্য করেন ” হিন্দি ভাষাই ভারতের ঐক্যকে ধরে রাখতে পারে। কারণ বহু ভাষাভাষীর এই দেশে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ কথা বলেন এই ভাষাতেই।” তিনি বলেন ভারতের সব স্কুলে হিন্দি ভাষা বাধ্যতামূলক করা হবে। অমিত শাহর এই কথায় প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। ভারত সরকারের প্রস্তাব নিয়ে সরব হয়েছেন বাংলার বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়ের লোকেরা। এমনকি বাংলাদেশী লেখিকা তসলিমা নাসরিন নিজের বক্তব্য লিখেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
“ভারতের সব ইস্কুলে হিন্দি ভাষা শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব এসেছে। দক্ষিণ ভারত প্রতিবাদে মুখর। বাংলা অনেকটাই চুপ। বাঙালি কি সত্যিই ভালোবাসে নিজের ভাষাকে? আমার অভিজ্ঞতা বলে, অধিকাংশ বাঙালিরই বাংলা ভাষা এবং বাংলা সংস্কৃতি নিয়ে কোনও গৌরব নেই। পূর্ব বাংলায় দেখি বাংলা ভাষা এবং বাংলা সংস্কৃতির ওপর ধর্মের নামে আরবি ভাষা এবং আরবি সংস্কৃতি চাপানো হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গে সর্ব ভারতীয় হওয়ার নামে বাংলা ভাষা এবং বাংলা সংস্কৃতির ওপর হিন্দি ভাষা এবং হিন্দি সংস্কৃতি চাপানো হচ্ছে। চাপাচ্ছে বাঙালিরাই। পশ্চিমবঙ্গের গরিব-বাঙালি হিন্দি ভাষা বলে জাতে ওঠেন, ধনী-বাঙালি ইংরেজি ভাষা বলে জাতে ওঠেন। বাংলা ভাষা আমার মতো বোকাসোকা বাংলা ভাষার পাঠক -কাম -লেখক মধ্যবিত্তরই অযৌক্তিক আবেগ, ভাষাকে ভালোবেসে যে মানুষ ইউরোপ আমেরিকা ছেড়ে এসেছে। এসে হতবুদ্ধি হয়ে যা দেখছি, তা হলো, কোনও মূর্খ অশিক্ষিত লোক ইংরেজি ভাষা ভালো বলতে পারলেই তাঁকে শিক্ষিত এবং জ্ঞানী বলে ভাবেন পূর্ব, পশ্চিম, দক্ষিণ এবং উত্তর বঙ্গের বাঙালিরা। ইংরেজি- মিডিয়াম -ইস্কুলে পড়া ছেলেমেয়ে বাংলা বলতে না পারলে অভিভাবকেরা খুশিতে বাগ বাগ।”