বাংলা হান্ট ডেস্ক: তোমাদের নেতা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। সেরকম ব্যবহার করো। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভরত ছাত্রছাত্রীদের এমনটাই বললেন বাবুল সুপ্রিয়। বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ জানিয়েছেন যে তাঁদের গায়ে হাত তোলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উড়িয়ে দিয়েছেন সেই অভিযোগ। বিক্ষোভে এসএফআইয়ের ছাত্রছাত্রীরা নেই বলে দাবি করেছেন সংগঠনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস।
আজ দুপুরে আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় এবিভিপির একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন। তখন তাকে ঘেরাও করেন পড়ুয়ারা, এমনকি বিক্ষোভ দেখানোও শুরু করেন
তারা। ঘটনাচক্রে যাদবপুরে পড়ুয়ারা চেঁচামেচি করেন যে কোনমতেই বাবুলকে ঢুকতে দেওয়া হবে না যাদবপুর ক্যাম্পাসে। শুধু তাই নয় বাবুলের চুল জামা ধরে টানাটানি শুরু করেন সকলে। ‘বাবুল গো ব্যাক’ স্লোগান ওঠে। ধাক্কাধাক্কিতে বাবুল একবার পড়েও যান।
ঘটনাচক্রে পরিস্থিতি এমনই অপ্রীতিকর হয়ে উঠেছে সেখানে হাজির হন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। তিনি বাবুলকে তাঁর ঘরে নিয়ে যেতে চান। কিন্তু আসানসোলের সংসদ স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে তিনি যে কাজের জন্য এসেছেন তা পূরণ করবেনই। এবিভিপির নবীন বরণ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বিজেপির এই নেতা। সংগঠকরা দাবি জানিয়েছেন যে একজন সঙ্গীতশিল্পী হিসেবেই বাবুলকে এদিন আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল যাদবপুর ইউনিভার্সিটি তে। পরে উপাচার্যের মধ্যস্থতায় সভামঞ্চে পৌঁছন বাবুল।
এই ঘটনায় এসএফআই দাবি জানিয়েছে তারা প্রথমে বাবুলকে বাধা দেয়নি। বিজেপির নীতির বিরুদ্ধে তাদের মূল অভিযোগ। তারা দাবি করেছেন যে বাবুল ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে তাঁর গায়ে হাত তোলার মিথ্যে অভিযোগ আনেন।’ যাদবপুর ছাত্রদের আর একাংশের দাবি দাবি, ধাক্কাধাক্কি চলাকালীন বাবুলের নিরাপত্তারক্ষীরা ছাত্রীদের গায়ে হাত দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে যাদবপুর ক্যাম্পাসে ঢুকতে আটকাতে বাধ্য হন এসএফআই সহ এবিভিপির বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলি।