বাংলা হান্ট ডেস্ক: সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে যাদবপুরের মাও-নকশালদের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুঙ্কার দিলেন দিলীপ ঘোষ। বাবুল সুপ্রিয়-কাণ্ডে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ কড়া ভাষায় বলেন, ওরা যে ভাষায় বোঝে সেই ভাষাতেই উত্তর দেব আমরা। আমরা চুপ রয়েছি বলে দুর্বলতা ভাববেন না, আমাদের এখন ক্ষমতা হয়েছে, দম থাকলে আটকে দেখাক।
যাদবপুর-কাণ্ডের প্রতিবাদে এক যোগে যাদবপুরের বামপন্থী ছাত্র সংগঠন ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, পাকিস্তানে ঢুকে আমরা মেরে এসেছি। যাদবপুরেও মাও-নকশাল ঘাঁটি ওড়াতে আমরা কসুর করব না। এখন জেএনএউ আর জেইউ সমার্থক হয়ে গিয়েছে।
শুধু তাই নয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় হাতাহাতির ঘটনা কে সম্প্রতি টোপ হিসেবে ব্যবহার করে বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন চাইল BJP। পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় এই দাবি জানিয়েছেন। এই বিজেপি নেতা সাংবাদিকদের দেয়া সাক্ষাৎকারে এমনই দাবি জানিয়েছেন বলে জানা গেছে।
কৈলাস বিজয়বর্গীয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ঝামেলার প্রসঙ্গে মুখ খুলে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়োকে উদ্ধার করতে রাজ্যপাল জগদীশ ধনখড়ের ছুটে যাওয়াই প্রমাণ করছে পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। এর থেকে দুর্ভাগ্যজনক আর কিছু হতে পারে না।’ শুধু তাই নয় বিজয়বর্গীয় আরও বলেন বলেন, ‘আমরা কোনও রাজ্যে অশান্তি না চাইলেও এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি উঠবেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা সামলাতে ব্যর্থ বলেই আমরা মনে করি। আমরা তাই রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তুলব।’
গতকাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় বাবুল সুপ্রিয়র সাথে ছাত্র-ছাত্রীদের হাতাহাতির ঘটনা কে কেন্দ্র করে জল্পনার ঝড় উঠেছে তুঙ্গে। সম্প্রতি এই ঘটনাকে টোপ হিসেবে ব্যবহার করে বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন চাইল BJP। পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় এই দাবি জানিয়েছেন। এই বিজেপি নেতা সাংবাদিকদের দেয়া সাক্ষাৎকারে এমনই দাবি জানিয়েছেন বলে জানা গেছে।