বাংলাহান্ট ডেস্ক: বাজারে শাকসবজি এখন অগ্নিমূল্য। দিনে দিনে বাড়ছে সামগ্রীর দাম। অন্যদিকে আবার এখন এত বেশি পরিমাণ ভেজাল যে খাবারের সাথে সাথেই একপ্রকার বিষ খাওয়া হচ্ছে। ধনীরা বাজারে না গিয়ে এখন বড় বড় দোকানে গিয়ে শাক সবজি কিনে আনছেন। দাম অনেক বেশি হলেও খাবারে ভেজাল অবশ্য কমই পাচ্ছেন। অন্যদিকে নুন আনতে পান্তা ফুরায় লোকেদের অবস্থা খুবই খারাপ। তাদের খেতে হচ্ছে ভেজাল মেশানো শাকসবজি। সামাজিক স্তরে এখনো কিছুটা পার্থক্য রয়েছে তা স্পষ্ট হয়ে যায় প্রতিবার।
বাংলাদেশী লেখিকা তসলিমা নাসরিন। আগে থাকছেন বাংলাদেশের তবে তার বিতর্কিত লেখার জন্য বাংলাদেশ থেকে তাকে ২৫ বছরের নির্বাসন দেওয়া হয়। একসময় কলকাতায় থাকলেও পরে সেখান থেকেও তাকে বিতারিত করা হয়। তসলিমা বর্তমানে দিল্লিবাসী। তিনি বরাবরই নিজের পথ পথ খুব স্পষ্টভাবে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে তুলে ধরেছেন। এর আগেও তিনি সামাজিক স্তরের পার্থক্য নিয়ে কথা বলেছেন। তবে বর্তমান পরিস্থিতি মাথায় রেখে এই অগ্নিমূল্য বাজারে সামান্য নিচুস্তরের লোকেদের যে কতটা ভোগান্তি হচ্ছে তা নিয়ে মন্তব্য করলেন। পড়ে নিন কি লিখলেন তিনি।
তসলিমা বলছেন, “শাক সবজিতে থাকে ক্যান্সার করে এমন ভয়ানক কীটনাশক। ছাগল ভেড়া হাঁস মুরগি মোষ শুকর যাদের খাদ্য হিসেবে বড় করা হয়, তাদের রোগ্মুক্ত রাখার জন্য এবং মোটাতাজা করার জন্য এত বেশি এন্টিবায়োটিক খাওয়ানো হয়, যে, তাদের শরীরে এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স জন্ম নেয়। তাদের খেয়ে খেয়ে আমাদের শরীরও তাদের মতোই হচ্ছে। ব্যাক্টেরিয়া আমাদের আক্রমণ করলে কোনও এন্টিবায়োটিক দিয়ে সেই ব্যাক্টেরিয়া মারা সম্ভব নয়।
আজ এন্টিবায়োটিক দেওয়া হয় না এমন মাংস আর কীটনাশক দেওয়া হয় না এমন শাক সবজির দোকানের খোঁজে বেরিয়েছিলাম। যে ক’টা দোকান দেখলাম সবকটাতেই বড়লোকেরা ঘোরাঘুরি করছেন। স্বাভাবিকের চেয়ে চতুর্গুণ পঞ্চগুণ দাম দিয়ে তাঁরা খাবার কিনছেন। আমার কি সাধ্য আছে ২০ টাকার জিনিস ২০০ টাকায় কেনার? আজ কিনেছি, প্রতিদিন তো পারবো না। আসলে স্বাস্থ্যটা ধনীদের জন্য, বেঁচে থাকাটা, ভালো থাকাটা ধনীদের জন্য।”