বাংলা হান্ট ডেস্ক: রাজীব কুমারের খোঁজ করতে মরিয়া সিবিআই। প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার কে হন্যে হয়ে খুঁজছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। লেকটাউন-সহ একাধিক জায়গায় রাতভর চলে তল্লাশি। দক্ষিণ ২৪ পরগনা আর সম্ভাব্য আস্তানাগুলিতে হানা দিল সিবিআই। এবার রাজ্যের গোয়েন্দাপ্রধানের উত্তরপ্রদেশের বাড়িতেও খানাতল্লাশি চালালো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। আলিপুর জেলা আদালতে পৌঁছেছে মকদ্দমা। ভারপ্রাপ্ত বিচারক সুজয় সেনগুপ্তের এজলাসে শুনানি শেষ। কিছুক্ষণ পরই রায় ঘোষণা হবে।
বারাসতের জেলা জজের আদালত রাজীব কুমারের আবেদন ফিরিয়ে দেয়। বৃহস্পতিবার, আলিপুর আদালত রায় দিয়ে জানিয়েছে, রাজিব এর বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে তার করা অপরাধের যথেষ্ট সাক্ষী প্রমাণ রয়েছে। তাই এখন কোনো পরোয়ানা ছাড়াই, সিবিআই নিজের ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে, তদন্তের স্বার্থে তাঁকে গ্রেফতার করতে পারে, এ ব্যাপারে কোনো রকম কেউ নাক গলাতে পারবেন না।
উল্লেখ্য, রাজীব কুমারের খোঁজ না পাওয়া গেলেও আড়ালে-আবডালে থেকেই পুলিশি গ্রেফতারি এড়ানোর চেষ্টা করে চলেছেন কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। রাজীবের আইনজীবী শুক্রবার আলিপুর আদালতে আগাম জামিনের আবেদন জানান। সিজিও কমপ্লেক্সে গিয়ে সেকথা জানিয়েও আসেন।
এসবের মাঝখানে IPS-কে হন্যে হয়ে খুঁজছে CBI। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকাগুলিতে দফায় দফায় অভিযান চালাচ্ছেন। ইতিমধ্যেই রাজীব কুমারের খোঁজ করতে ভবানী ভবনে তলব করল CBI আধিকারিকরা। কিন্তু অভিযোগ, প্রোটোকল অনুযায়ী আধিকারিকদের ‘অনুমতি না নিয়েই’ ঢুকে যায় CBI-এর দলটি। তা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। প্রায় এক ঘণ্টা সেখানে ছিল তারা।
সারদাকাণ্ড সামনে আসার পর রাজ্য সরকার বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন (সিট) করে রাজ্য সরকার। ওই দলের তদন্তেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বিধাননগরের তৎকালীন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের।