বাংলাহান্ট- কমরেড অপর্ণা সেন,
(কয়েক লাইনের খোলা চিঠি)
আপনি ঠিকই
বলেছেন ,যাদবপুরে ওরা যা করে সেটা ওদের মুক্ত চিন্তার বহিঃপ্রকাশ। কমঃ সেন, এরাই পারবে ভবিষ্যতের আর্বান (শহরের) মাও অথবা নকশাল হতে।
এরাই পারবে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অর্থ যোগান দিতে।
হ্যাঁ এরাই পারবে দেশের আভ্যন্তরীণ বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির জন্য ভেঙ্গে পড়া অর্থনীতি নিয়ে, রাষ্ট্রের দিকে আঙ্গুল তুলতে।
এরা একদিন নিশ্চই পারবে ভারতকে টুকরো টুকরো করে চীনের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে।
আর এসবই ওদের গণতান্ত্রিক অধিকার।
কমরেডরা কিন্তু হল্লাবোল বলে ঝাঁপিয়ে পড়ে না, চীনের আগ্রাসন নীতির বিরুদ্ধে।
আর করবেইবা কেন ? 1962 সালের ভারত-চীন যুদ্ধের সময় ওদের পূর্বসূরীরা কোলকাতয় “হিন্দি-চীনি ভাই ভাই” স্লোগান দিতে শিখিয়েছিলো।
ওরা শহীদের মর্যাদা দেয়না মাওবাদী আক্রমনে মৃত ভারতীয় সেনা জওয়ানদের।
ওরা মহামিছিল করেনা মরীচঝাঁপি গণহত্যার বিচার চেয়ে।
বলতে পারেন কমঃ সেন, মরীচঝাঁপীর উদ্বাস্তু মানুষগুলো কি পুঁজিবাদী ছিলো ?
ওরা আসলে আফিমের নেশাকে প্রকৃত ধর্ম মনেকরে। তাই বিদেশি প্রসাধনী বা সম্রাজ্যবাদের পৃষ্ঠপোষকতায় বিশ্বাসী বিনোদনের সকল আন্তর্জাতিক পণ্যতে কিন্তু তাদের কোন আপত্তি নেই। উপরন্তু আসক্তি এমন পর্যায়ে যে , প্রকাশ্যে তাই নিয়ে আন্দোলন করতে পিছপা হন না তারা । আমার প্রশ্ন হল, যে অসভ্যতাকে বা উশৃংখলতা কে আপনারা গণতন্ত্র বলে আখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করছেন ,যদি এই মু্ক্তচিন্তা কখনো আপনাদের উপর প্রয়োগ হয় তখনও ক্যামেরার সামনে পোষাকি সমাজতন্ত্রের সমর্থনে আপনাদের তথা আজকের এই স্বঘোষিত বামপন্থী বুদ্ধিজীবী দের একই মত থাকবে তো?
আপনাদের বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক কমরেড। লেখা : পৃথ্বীশ দাশগুপ্ত