বাংলা হান্ট ডেস্ক : আগামী বছরের জানুয়ারী মাস থেকে রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধির কথা ঘোষনা করেছে রাজ্য সরকার। বেতন কমিশন চালু করে কমিশনের সুপারিশ মেনে বেতন বৃদ্ধি করা হবে। ফলে একধাক্কায় সরকারি কর্মীদের বেতন বাড়বে অনেকটাই। কিন্তু এখানেই উঠছে প্রশ্ন। সরকারি কর্মীদের বেতন বাড়িয়ে আদলেত লাভ হচ্ছে রাজ্য সরকারই। এমনই প্রশ্ন উঠছে।
শুধু তাই নয় বেতন কমিশন কার্যকর করতে নাকি রাজ্য সরকারের একটাও টাকা খরচ হচ্ছে না, কর্মীদের টাকাতেই বেতন বৃদ্ধি করছে এমনই অভিযোগ তুলতে শুরু করেছে রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠন কনফেডারেশন অব স্টেট গভমেন্ট এমপ্লয়িজ। নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রীর বেতন বৃদ্ধি করার ঘোষনাতে সরকারী কর্মচারীরা খুশি হলেও তাতে সরকারেরই লাভ এমনকি রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বেতন মেরে নিয়েই সেই টাকা কর্মচারীদের দেওয়া হচ্ছে বলে সংগঠনের তরফ থেকে দাবি উঠতে শুরু করেছে।
একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে ওই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখার্জী জানিয়েছেন, 2012-13 সাল নাগাদ সরকার পেনশন খাতে 40,766.95 কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল। কিন্তু সরকারের আদতে খরচ হয়েছিল 39,799.06 কোটি টাকা। তাহলে এক্ষেত্রে সব মিলিয়ে এখনও অবধি প্রায় দেড় কোটি টাকা রাজ্য সরকারের কোষাগারে রয়েছে।
এরপর ছ বছরের হিসেব তুলে ধরেছেন মলয় বাবু। 2012-2018 অবধি আর্থিক বছরে এই ভাবে জমে যাওয়া টাকার পরিমান দাঁড়িয়েছে 15129.17 কোটি টাকা। তাই বেতন বৃদ্ধি না করা, মহার্ঘ্য ভাতা চালু না করা এবং নিয়োগ না করার ক্ষেত্রে এত টাকা সঞ্চিত হয়েছে সরকারী কর্মচারীদের টাকা মেরে নিয়ে। এমনটাই বলছেন মলয় মুখার্জী।