বাংলা হান্ট ডেস্ক : বঙ্গ রাজনীতির হাল ফেরাতে এবং আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভেটগুরু প্রশান্ত কিশোরকে নিয়োগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শ মেনে মুখ্যমন্ত্রী এখন প্রতিটি পদক্ষেপে পা ফেলেন৷ শুধু তাই নয় প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শ মেনেই রাজ্যের মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ বাড়াতে রাজ্য সরকার শুরু করেছে দিদিকে বলো৷ এ অবধি সব ঠিক থাকলেও এবার নাকি মমতা ও প্রশান্তের মধ্যে মতানৈক্য দেখা দিতে শুরু করেছে বলে জোর গুঞ্জন উঠেছে রাজ্য রাজনৈতিক অন্দরে৷
সম্প্রতি মুখ্যমমন্ত্রীর বেশ কিছু সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কড়া সমালচমা করতে দেখা গিয়েছে প্রশান্ত কিশোরের ঘনিষ্ঠ মহলে৷ পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে প্রশান্তের মতানৈক্যের বিষয়টিও প্রকাস্যে আসছে৷ তাই এ নিয়েই শুরু হয়েছে জোর জল্পনা৷ এমনকি মমতার সচিবালয়েও প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে চাপা উত্তজেনা তৈরি হয়েছে বহুদিন ধরেই৷ এমনকি প্রশান্ত কিশোর এই রাজ্য নিয়ে কতটা ওয়াকবহল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজ্যে মন্ত্রীমহল থেকে৷
অন্যদিকে প্রশান্ত কিশোরের ক্ষমতা ও অধিকার নিয়েও উঠছে প্রশ্ন৷ মাঝরাতে বা ভোররাতে বিধায়কদের ফোন করে যা তা নির্দেশ দিচ্ছেন প্রশান্ত, জন সংযোগ বাড়ানো নিয়ে প্রশান্তের ছেলেমেয়েরাও বিধায়কদের ওপর চাপ দিচ্ছে৷ যা মোটেও মেনে নিতে পারছেন না তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা৷ ইতিমধ্যেই পিকে কে নিয়ে সকলের মধ্যেই অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে৷ এমনকি ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশও নাকি শুনছেন না প্রশান্ত কিশোর৷ সকলেই মনে করছেন তিনি ধরাকে সড়া জ্ঞান করতে শুরু করেছেনে৷
তবে মুখ্যমন্ত্রীও যে পিকের কথা শুনছেন এমনটা নয়৷ কারণ, বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে পিকের বুদ্ধি মেনে রাজ্য সরকরাকে হোঁচট খেতে হয়েছে৷ তাই মুখ্যমন্ত্রীও সেভাবে প্রশান্তের বুদ্ধিতে ভরসা রাখতে পারছেন না৷ অনেকেই বলছেন এ রাজ্যের মাটিতে প্রশান্ত কিশোরের বুদ্ধি কতটা কার্যকরী হবে তা হয়তো বুঝতে পেরেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তাই প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী আদৌ কি ভোট বৈতরনী পার করতে পারবেন, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন৷