ঘন জঙ্গলের মাঝেই গায়ে কাটা দাওয়া ইতিহাসের সাক্ষী দেবীর পুজোর প্রস্তুতি তুঙ্গে।

 

বাংলা হান্ট ডেস্ক: পুরাণ বলে, দুর্গার নবরূপ। অর্থাৎ ভু বিশ্বে নটি রূপে পূজিতা হন দেবী দুর্গা। তারই এক অন্যতম রূপ শ্যামা। পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাকসারগড় জঙ্গলে এই শ্যামা রূপে ই পূজিতা হন দেবী দুর্গা। দেবীপক্ষ পড়তে আর মাত্র কিছুদিনের অপেক্ষা। সেজে উঠছে তিলোত্তমা। চারিদিকে মাতৃ আরাধনার প্রস্তুতি তুঙ্গে। তখনই কলকাতা থেকে দূরে চারিদিকে জঙ্গলে মোড়া কাকসারগড় জঙ্গলের এই মন্দিরেও শ্যামা রূপে সেজে উঠছেন দেবী। লাল মাটির পথ, পথের দুই ধারে ঘন জঙ্গল, নিস্তব্ধতায় মোড়া। কিন্তু পুজোর দিন সেই নিস্তব্ধতা টের ই পাওয়া যাবেনা। গমগম করে এই অঞ্চল পুজোর দিন গুলোতে। লোকেদের বিশ্বাস। এই শ্যমারুপি মা পূরণ করবে তাদের সকল মনে ইচ্ছা। ঘোচাবে অভাব।

IMG 20190923 103112

ঘন জঙ্গলের মাঝে দেবীর শ্যামা রূপের এই মন্দিরকে শ্যমরুপা মন্দির নামেই চেনে মানুষ। স্থানীয়দের দাবি, হাজার বছরেরও বেশি সময়ের পুরোনো এই মন্দির। তেমনই নানান অলৌকিক জনশ্রুতি ও আছে এই মন্দির কে ঘিরে। অনেকের মতে অষ্টমীর দিন বহু দুর থেকে ভেসে আসতো এক নাম না জানা আওয়াজ, অনেকটা কামানের গোলা বা মেঘ ডাকার মতন। স্থানীয়দের মতে সেই আওয়াজ শোনার পরই শুরু হতো অষ্টমীর পুজো।জঙ্গলের মধ্যে শ্বেত পাথরের মূর্তি, আর সেখানেই সমস্ত প্রথা মেনে হয় দুর্গা পুজো। অষ্টমীর দিন এই না জানা আওয়াজ শোনার জন্য আজও অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে ভক্ত রা। আবার পুরোহিত সহ একাংশের মতে এই মন্দির রাজা লক্ষন সেনের সময় কালের। বখতিয়ার খিলজী যখন রাজা লক্ষন সেন কে আক্রমন করেন তখন এখানে এসেই তিনি আত্ম গোপন করেন। তখন স্থানীয় কাপালিক রা তাকে বলি দিতে এবং এই স্থানে শক্তি মন্দির প্রতিষ্ঠা করতে উপদেশ দেয়। তবে থেকেই এই মন্দির ।আর এই মন্দিরেই এখন পুজোর প্রস্তুতি তুঙ্গে।

সম্পর্কিত খবর