বাংলা হান্ট ডেস্ক : এনআরসি ইস্যুকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়েছে গোটা দেশ৷ বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি ইস্যু ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলেছে৷ অসমে নাগরিক পঞ্জি চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিজেপি এবং তৃণমূল সংঘাত ক্রমশই দক্ষযজ্ঞের রূপ নিচ্ছে৷ রাজ্যে এনআরসি নিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ইতিমধ্যেই আট জুন এনআরসি আতঙ্কে প্রাণ হারিয়েছেন ঠিক এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় তুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ এনআরসি আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআরের দাবি তুললেন দিলীপ ঘোষ৷
এ দিন সাংবাদিকদের সামনে দিলীপ ঘোষ জানান, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই এনআরসি হয়েছে অসমে, যেখানে গেরুয়া বাহিনীর কোনও হাত নেই অথচ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় মিছিল করে যে ভাবে এনআরসি নিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন তাতে রাজ্যবাসীর মধ্যে এনআরসি আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে৷ তাই এনআরসি আতঙ্কে যদি মৃত্যু হয়ে থাকে তা হলে তার জন্য দায়ী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাই তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর হওয়া উচিত বলে দাবি তুলেছেন দিলীপ ঘোষ৷ বিজেপি রাজ্যের ক্ষমতায় আসলে এনআরসি চালু করবে ঠিক এই ভাষাতেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ, তার পর এনআরসি বিরোধিতা করেই শহরের রাজপথে হেঁটেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
রাজ্যে কোনও ভাবেই এনআরসি চালু করা যাবে না এবং একজন রাজ্যবাসীর গায়ে হাত দিতে পারবেন না বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী৷ অন্য দিকে এনআরসির বিরোধীতা করে বাঁকুড়ায় বিজেপিকে তোপ দেগেছিলেন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী৷ বাংলায় এনআরসি চালু করতে হলে লাশের ওপর দিয়ে যেতে হবে এমনটাই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি৷