বাংলা হান্ট ডেস্ক : আমেরিকার টেক্সাসে পৌছেই প্রধানমন্ত্রী প্রথম বার্তাটা বিশ্বকে দিয়ে দিতে সফল হয়েছেন যে ভারত বিশ্বে এখন এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প ও তাকে বন্ধুত্বের সম্পর্কে বাড়তে বাধ্য হয়েছেন। এমনকি ভারতকে তার পরিবার হিসেবে মেনেও নিয়েছেন। প্রথম থেকেই ছিল ভারতীয় সংস্কৃতির এক অনন্য ছোঁয়া প্রধানমন্ত্রী মোদী কে দেখবার জন্য 50 হাজার দর্শকের উপচে পড়া ভিড় তাদের উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মতো। এমনকি রাস্তার জ্যাম এর ছবি ছিল ভারতের মেট্রো পলিটন সিটির চেয়েও আরো ব্যস্ত। কিন্তু সব কিছুর মাঝেই মোদী বক্তব্যে পরিষ্কার করা যায় যে তিনি আমেরিকার সাথে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। অন্যদিকে আতংবাদি ইসুতে তিনি তার অবস্থান স্পষ্ট করেন এবং তার সাথে চীন এবং পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিতেও পিছপা হননি।
কাশ্মীর প্রসঙ্গে যেমন একটা সঠিক বার্তা দিতে পেরেছেন তেমনি পাকিস্তান যে তার অনুপ্রবেশকারীদের ঢুকিয়ে ভারতে আতংবাদি হামলা করানোর চেষ্টা করছে এবং করিয়েছে তারও চরম নিন্দা এবং হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
সন্ত্রাসবাদি ইস্যুতে যে আমেরিকা যে কতটা কঠোর মনোভাব অন্য কারো প্রশংসা করতে ভুলেননি তিনি। আর এইসব কারনেই আমেরিকার রাষ্ট্রপতি সেখানে মোদিকে “ফাদার অফ ইন্ডিয়া” বলে সম্মানিত করেনআমেরিকার রাষ্ট্রপতি সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ‘ফাদার অফ ইন্ডিয়া” (Father of India) বলে সন্মানিত করেন। রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প বলেন, ‘আমার মনে আছে, এর আগে ভারত একত্রিত ছিলনা। সেখানে অনেক সমস্য ছিল, চারিদিকে হিংসা আর অশান্তি ছিল। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হয়ে সবাইকে এক করার চেষ্টা করেন। তিনি ফাদার অফ ইন্ডিয়া। আমার পাশে বসে থাকা এই মানুষটাকে সবাই খুব ভালোবাসে। তিনি আমেরিকার এলভিস এর মতো।”
ভারতে তিনি কখনো চা ওয়ালা কখনো চৌকিদার কখনো সেবক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। কিন্তু বাইরের দেশে তিনি তার গর্বের ধ্বজা উড়িয়েছেন তা শুধু নিজের জন্য নয় দেশের অগণিত সাধারণ মানুষের পরিশ্রমের ধ্বজা তিনি উড়িয়েছেন। সবকিছু বিষয় বলার পরে আমেরিকার বন্ধুত্ব যে কতটা সময়ের জন্য স্থিতিশীল থাকবে সেটা ইতিহাস সাক্ষী রয়েছে একথা বলাই যায়।