বাংলা হান্ট ডেস্ক :সারদার পর নারদা, গোটা রাজ্যে এই দুই আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনা যেন ঝড় তুলেছেন একদিকে সারদা কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত আইপিএস রাজীব কুমারকে খুঁজে পেতে কার্যত হিমশিম খেতে হচ্ছে সিবিআইয়ের দুঁদে অফিসারদের অন্যদিকে আবার নারদা কাণ্ডে গ্রেফতার হলেন আইপিএস এসএমএইচ মির্জা৷ দীর্ঘ প্রায় সাড়ে তিন বছর তদন্তের পর সিবিআই নরদা কাণ্ডের এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল৷ যদিও বাকি বাঘারা৷ তবে একাধিকবার জেরা করা হলেও আইপিএস মির্জাকে জেরা করে একাধিক অসঙ্গতি পেয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা৷ তাই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷
নারদা কাণ্ডের স্টিং অপারশনে মির্জাকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল৷ তরপরই তাঁকে সেই টাকা কোথায় ব্যবহার করা হয়েছে, কেন নিয়েছিলেন সেই টাকা, টাকা নেওয়ার পিছনে আরও কেউ আছে কি না সেই সব প্রশ্নের জন্য একাধিক বার মুখোমুখি হতে হয়েছিল সিবিআইয়ের৷ কিন্তু উত্তরের ভিত্তি ছিল না৷ তাই বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে৷ মির্ডার গ্রেফতার নিয়ে যথেষ্ট খুশি নারদ কর্তা ম্যাথু স্যামুয়েলস৷ দিনটিকে জীবনের সেরা দিন হিসেবে জানালেন তিনি৷
2016 সাল থেকে প্রকাশ্যে এসেছিল নরদা কেলেঙ্কারি৷ তারপর থেকে দ্রুত গতিতে মামলার তদনত্ এগিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই৷ অবশেষে মির্জার গ্রেফতারির পর ম্যাথুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি দিনটিকে সবথেকে খুশির দিন বলে জানান৷ পাশাপাশি যখন নারদ স্টিং অপারেশনের ভিডিও প্রকাশ্যে আসে তখন তৃণমূলের তরফ থেকে রাজনৈতিক চক্রান্ত বলা হয়েছিল৷ এমনকি তাঁর পিছনে রাজ্যের পুলিশ লেগেছিল বলেও জানান তিনি৷ কিন্তু পরে সেটা তাঁর পেশাগত দিক বলে প্রমানিত হয়৷
তাই এই নারদ স্টিং অপারেশন কখনই রাজনৈতিক চক্রান্ত ছিল না বলে জানান ম্যাথু৷ এবং এই কাজ করতে তাঁর যে কঠোর পরিশ্রম সেই বিষয়টিকেও তুলে ধরেন এদিন৷ এক আইপিএস অফিসার নিজের ঘুষ নিয়েছেন, আবার অন্যা নেতাদের নিতে সাহায্য করেছেন কিন্তু শেষে তিনি গ্রেফতার৷ তাই এই খুশি ধরে রাখা যায় না বলেও জানান তিনি৷