বাংলা হান্ট ডেস্ক : জোড়া মামলার শুনানির সাক্ষী হলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। 25 জুন ফ্যাসিবাদ নিয়ে সাতটি লক্ষণ নিয়ে মহুয়া মৈত্রের বক্তব্য এবং জি নিউজের দায়ের করা মামলা মিলিয়ে মোট দুটি মামলার জন্য একটিতে 18 তারিখ অবধি স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে অপরটিতে 25 অক্টোবর মহুয়া মৈত্রকে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের সমর বিশাল জানিয়েছেন, “ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০০ ধারা অনুযায়ী, মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে শুনানির যথেষ্ঠ ভিত্তি রয়েছে। সেইমতো, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০০ ধারা অনুযায়ী মহুয়া মৈত্রকে সমন পাঠানো হয়”।
অন্যদিকে সংস্খার পক্ষে আইনজীবি বিজয় আগরওয়াল মহুয়া মৈত্রের সংস্থার বিরুদ্ধে সম্মানহানিকর মন্তব্য, অলটপালট,, ভিত্তিহীন, বিবৃতি যথেষ্ট সম্মানহানিকর বলে জানান। অন্যদিকে নিউজ চ্যানেলের দায়ের করা শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে 18 অক্টোবর। ওই দিন আদালতে হাজির হতে হবে সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে। যদিও বিচারক পারেওয়ারের কাছে দায়ের করা অভিযোগে মহুয়া মৈত্র আমেরিকার মিউজিয়ামের পোস্টারে থাকা ফ্যাসিবাদের 14 লক্ষণ সংক্রান্ত উল্লেখ থেকে বক্তব্য রাখা হয়েছে। এবং তিনি পোস্টার গুলির উল্লেখ করেই তবে বক্তব্য রেখেছেন বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে চ্যানেলের কর্ণধার বক্তব্য নকল করে তুলে ধরেছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন।
উল্লেখ্য, সংসদে ভাষণ দেওয়ার সময় ঝড়ঝড়ে ইংরাজীতে ভাষণ দিয়ে ঝড় তুলেছিলেন সাংসদ মহুয়া মৈত্র। স্তব্ধ করে দিয়েছিলেন গোটা সংসদ চত্বরকে। যদিও তাঁর ভাষণ নিয়ে কম জল্পনা ছড়ায় নি। তিনি নাকি মার্কিন প্রকাশনা থেকে হুবহু কপি করে সংসদে ভাষণ দিয়েছেন এমন অভিযোগ উঠেছিল। এমনকি বক্তব্য যেখান থেকে সংগৃহীত তার কথা উল্লেখ না করার অভিযোগ উঠেছিল। জি বাংলার তরফ থেকে মহুয়ার ভাষণের একটি কপি ও আসল নথি পাশাপাশি রেখে ট্যুইট করা হয়েছিল।
সেখানেই দেখা যায় 2017 সালের 31 জানুয়ারী ওয়াশিংটন মান্থলিতে প্রকাশিত ওয়ার্নিং সাইনস অফ ফ্যাসিজম শিরোনামে একটি লেখা তার বক্তব্যের সঙ্গে শতভাগ মিলে গেছে। যদিও মহুয়া মৈত্র দাবি করেছিলেন তিনি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেছিলেন। আর এই নিয়েই জোড়া মামলা দায়ের হয়েছিল দিল্লী আদালতে।