বাংলা হান্ট ডেস্ক : রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে বারবার যখন ভারত মুখ খুলেছে মোদি সরকার তখন বিরুদ্ধে থাকা কংগ্রেস সরকার তৃণমূল সরকার তাদের বিরোধিতা করেছে। ও তার খাতিরে রোহিঙ্গাদের ভারতের স্থান দেওয়া নিয়ে বারবার বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। কিন্তু জমি হারাতে হয়েছে বিরোধী দের।
এরপর বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গারা যখন আশ্রয় নিয়েছে তখন বাংলাদেশ সরকারকে বাহবা দিয়েছে অনেক মুসলিমদের দেশ। কিন্তু সমস্যা বীজ অইদিন বপন হয়ে গেছে। সেটা বাংলাদেশ ও বুঝতে পারেনি।
বর্তমানে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে অনেকে রিপোর্ট বেরিয়েছে যেখানে সিমকার্ড বিতর্ক বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব নষ্টের বিতর্ক। বর্তমানে চাপ দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশকে তাদের জন্য কিছু ব্যবস্থা করবার জন্য। কিন্তু মায়ানমারকে কেন নয়? প্রশ্ন এখানেই।
গত মঙ্গলবার তুরষ্ক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীকে আহ্বান জানান।তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি রোহিঙ্গাদের নিয়ে বাংলাদেশ সরকার যেই বোঝা বহন করছে তা ভাগাভাগি করতে এগিয়ে আসবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।”
রোহিঙ্গা মুসলমানদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করে কাভুসোগলু বলেন, -“আমরা বাংলাদেশের প্রতি অনুরোধ করবো তারা যেন রোহিঙ্গাদের জন্য আলাদা জমি বা জায়গা বরাদ্দ করে, ঠিক যেমনটা আমরা করেছি সিরীয় শরণার্থীদের ক্ষেত্রে। আর এখনও সেটা বিশ্বের সবচেয়ে ভালো শরণার্থী শিবির।”
১৯৮২ সালে রোহিঙ্গা মুসলমানদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেয় মিয়ানমার সরকার। এর পর থেকে দফায় দফায় তাদের ওপর চলা গনহত্যার কারণে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় লাখ লাখ রোহিঙ্গা। ২০১৭ সালের আগস্টে আবারো গণহত্যা শুরু হলে খুন, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গা মুসলিম সম্প্রদায়ের কয়েক লাখেরও বেশি মানুষ।
ভুক্তভোগী বাংলাদেশ এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। রোহিঙ্গাদের পূনর্বাসনের সদিচ্ছা দেখিয়ে ভারতের মোদি সরকার তৎক্ষণাৎ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তার ভারতের জনগণ তখন বুঝতে না পারলেও বর্তমান সমস্যাগুলো বুঝিয়ে দিচ্ছে সেই সিদ্ধান্ত ছিল সঠিক এবং নির্ণায়ক শক্তি।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে যেরকম ভাবে পশ্চিমী দুনিয়ার তাদের হাত বাড়িয়েছে। কিন্তু মায়ানমারের উপরে কোনভাবেই তারা চাপ সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হচ্ছে। এর পেছনে আন্তর্জাতিক রহস্য রয়েছে সেটাই এখন দেখার বিষয়।