অমিত সরকার : “বামনহাটের মেলা ভাঙ্গিয়া, সেখানে হইতে আরও দশ ক্লোশ উত্তরে রসুলগঞ্জে সপ্তাহব্যাপী আর এক মেলা হয়। যে সকল গো-মহিযাদি বামনহাটে বিক্রয় হয় নাই— সে সব রসািলগঞ্জে গিয়া জমে। সেইখানেই আদরিণীকে পাঠাইবার পরামর্শ হইল। আজ আবার আদরিণী মেলায় যাইবে। আজ আর বন্ধ তাহার কাছে গিয়া বিদায় সম্ভাষণ করিতে পারিলেন না। রীতিমত আহারাদির পর আদরিণী বাহির হইয়া গেল ।”
হ্যাঁ ঠিকি ধরেছেন।প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায় এর আদরিনী বাস্তবের পটভূমিতে কখনো “বংগে” কখনও “সিংহলে”।
এবারও সাত সকালে রাস্তায় দাঁড়িয়ে গজরাজ হঠাৎ দেখা যায় তার দোদুল্যমান গতিতে চলে আসা এবং 20 মিনিট ধরে রাস্তার জ্যামে আটকে থাকে। আলিপুরদুয়ারের জটেশ্বর এ এই ধরনের দৃশ্য দেখে গাড়িতে বসে থাকা উৎসুক জনতা সে গুলোকে ক্যামেরাবন্দি করতে আরম্ভ করে। হাতির হানায় বেশকিছু ফসলের ক্ষতি হয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না তুমি পথ চলতে গিয়ে অজানা পথে হঠাৎ এই হাতির দেখা যে কিছু মানুষের মনে উল্লাস সৃষ্টি করে তা কে না জানেন?
অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার পথে “রাজা”? কে সে? নাম তার রাজা। নামের মতো তার চলাফেরাও রাজকীয়। রাজা যখন দুলতে দুলতে রাস্তা দিয়ে যায় তখন সবাই হাত তুলে প্রণাম করে। যার এমন রাজকীয় চলাফেরা তার তার সুরক্ষা বলয় তো রাজার মতোই হবে। তাই সবসময় তার সঙ্গে থাকে একদল সশস্ত্র দেহরক্ষী। ‘রাজা’ মূলত প্রায় সাড়ে ১০ ফুট লম্বা একটি হাতি।হাতি হলেও কোনো খুব ভিআইপি থেকে রাজার গুরুত্ব কম নয়। তার পুরো নাম নাদুগামুওয়া রাজা। শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে লম্বা পোষা হাতির নাম রাজা।
যার নিরাপত্তা বেষ্টনীতে নিরাপত্তারক্ষী রেখেছে শ্রীলঙ্কার প্রশাসন। একে-৪৭ নিয়ে সর্বদা তার পাশে থাকে পাঁচজন দেহরক্ষী।
শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে বড় মন্দিরগুলো পুরোহিতদের পছন্দ বিশাল এই হাতি। তাই মাঝে মাঝেই কোনো না কোনো মন্দির থেকে আমন্ত্রণ আসে। শুধু তাই নয়, প্রতি বছর ‘এসালা’ বৌদ্ধ অনুষ্ঠানের সময়ে বুদ্ধের দেহাবশেষ বহনের গুরুদায়িত্বও থাকে রাজার কাঁধে।