বাংলা হান্ট ডেস্ক: আইনের কোনরকম তোয়াক্কা না করেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় গণপিটুনির ঘটনায় বারবার উঠে এসেছে আমাদের সামনে। এদেন মধ্যে বেশ কিছু ঘটনার আবার একে অপরের সাথে সাদৃশ্যও রয়েছে। ছেলে ধরা সন্দেহে দেশের বিভিন্ন জায়গায় গণপিটুনির ঘটনা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। বিধানসভায় আইন এনেও লাগাম পড়ানো যায়নি এর থেকে। এমনকী মৃত্যুও হয়েছে অনেকেরই। অতিসম্প্রতি ফের একবার গুজবেই ধুন্ধুমারকাণ্ড ঘটে গেল পুরুলিয়ার আনারায়। আক্রান্তদের উদ্ধার করতে গিয়ে গ্রামবাসীদের হাতে আক্রান্ত হয় পুলিশ।
শুক্রবার সকালে আনারায় ছেলেধরা সন্দেহ করে রামপুরের কয়েকজন বাসিন্দাকে আটক করে মারধর করতে থাকেন গ্রামবাসীরা। ঘটনার খবর পেয়ে সেই স্থানে পৌঁছয় পুলিশ। কিন্তু এতে হিতে বিপরীত ঘটে, আক্রান্তদের উদ্ধার করতে গিয়ে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে যায় তারা।
জানা গেছে একটি গাড়িকে নিয়েই এই ঘটনার সূত্রপাত হয়। গোটা গ্রামের উঠে যায় ওই গাড়িতে করেই ছেলে চুরি করে পাচার করা হচ্ছে। এই সন্দেহ হওয়ার পর গ্রামবাসীরা ওই গাড়িকে আটকে আগুন ধরিয়ে দেন। কোনওক্রমে প্রাণে বেঁচে যান তিন জন। ভস্মীভূত হয়ে যায় গাড়িটি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। এরপর পুলিশকে ঘিরেও শুরু হয় বিক্ষোভ। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১০জনকে আটক করেছে পুলিশ। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই উত্তর দিনাজপুর গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছিল। ছেলেধরা সন্দেহে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় দুই যুবককে বেধড়ক মারধর করার হয়েছিল। পুলিসের হস্তক্ষেপে কোনওক্রমে প্রাণে বাঁচলেও পুলিসের হস্তক্ষেপে কোনওক্রমে প্রাণে বাঁচলেও মাথা ফাটে পুলিশের।
এছাড়াও, কয়েকদিন আগে আসানসোলের সালানপুরের দেনদুয়া রেলগেটের কাছে ঘটে যায় একইরকম একটি ঘটনা। এলাকাবাসী চোর সন্দেহ করে এক যুবককে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। তাকে রাস্তায় শুয়ে এলোপাথাড়ি লাথি মারাও চলে বলে জানা গেছে। প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে চালানো হয় এই নির্মম অত্যাচার। ঘটনার খবর পেয়ে সালানপুর থানার পুলিশ যখন পৌঁছয়, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল। আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।