বাংলা হান্ট ডেস্ক: পার্টি অফিস দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূল-BJP সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল হালিশহরের কোনা কলোনি৷ সংঘর্ষে জখম হয়েছেন দু’পক্ষের অন্তত পাঁচজন। খবর পেয়ে বীজপুর থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষের ঘটনায় তৃণমূল ও BJP-র চাপানউতোর অব্যাহত।
উল্লেখ্য, দিনদিন রাজনৈতিক পরিবেশ আরও বিঘ্নিত হচ্ছে বাংলায়। প্রতিনিয়ত লেগেই রয়েছে মারামারি-কাটাকাটি, এমনকি বোমাতঙ্কে ঘটনা পর্যন্তও। প্রতিনিয়ত এমন বিভিন্ন ঘটনা দেখতে-শুনতেও পড়তে তিতিবিরক্ত হয়ে উঠেছে রাজ্যবাসী। সকলেরই সমানভাবে একটাই দাবি একটাই দাবি ‘শান্ত ও সুশীল পরিবেশ’, যেখানে থাকবে না কোন রাজনৈতিক দাঙ্গা-হাঙ্গামা, যার জেরে ভুগতে হবে না সাধারণ মানুষকে।
অতি সম্প্রতি মধ্যমগ্রামের মধ্যমগ্রামের একটি ঘটনায় ফের এমনই এক নজির ঘটলো যার জেরে আবার একবার সমস্যার মধ্যে সাধারণ মানুষ। কয়েকদিন আগে মধ্যমগ্রামের কদমতলা বাজারে তৃণমূল কার্যালয়ে, হঠাৎই কিছু দুষ্কৃতী এসে গোলাগুলি চালায়। শুধু তাই নয় গুলির সাথে সাথে তারা বোমাও ছোঁড়ে সেখানে। ঘটনাচক্রে ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মধ্যমগ্রামের কদমতলা বাজারে হঠাৎ হওয়া এই গোলাগুলি বর্ষণে গুরুতর আহত হন তৃণমূলের যুব নেতা বিনোদ সিং ও তাঁর আরও এক সঙ্গী দীপক বসু।
জানা গেছে, ঘটনাচক্রে বিনোদের মাথায় ও বুকে গুলি লেগেছে। স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাদের ভর্তি করা হয়। সূত্রে খবর, বিনোদের অবস্থা এখন খুবই আশঙ্কাজনক, সেই কারণে চিকিৎসার স্বার্থে তাঁকে কলকাতায় আনা হচ্ছে। জানা গিয়েছে যে স্থানীয় দুষ্কৃতী রাখাল নন্দীর সঙ্গে বিনোদের দীর্ঘদিনের ঝামেলা রয়েছে, এই ঘটনার সাথে এর কোনো যোগসূত্র থাকতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ।
এই দুষ্কৃতী রাখাল নন্দী, ৭ দিন আগেই জেল থেকে ছাড়া পায়। অভিযোগ উঠেছে তারপরই বিনোদের উপর হামলা করে রাখাল। কিন্তু এদিন ঘটনাস্থলে রাখাল একা ছিল না, ৭-৮জন দুষ্কৃতী হামলা চালায় তৃণমূল কার্যালয়ে। রাতভর এলাকায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে দুটি বন্দুক ও এক রাউন্ড গুলি।