পেঁয়াজের দাম নিয়ে কান্নাকাটি করা লোকেদের জন্য একটি দুর্দান্ত খবর আছে। পেঁয়াজ আর বেশি দিন কাঁদাবে না। আফগানিস্তান ভারতের সাথে বন্ধুত্ব দৃঢ় করার জন্য দেশে পেঁয়াজ পাঠাতে শুরু করেছে। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী জানা গেছে যে, আফগানিস্তান থেকে ৩০-৩৫ ট্রাক বোঝাই করে পেঁয়াজ শীঘ্রই দেশে আসবে। সূত্র অনুযায়ী খবর পাওয়া গেছে যে ভারতে পেঁয়াজের দাম বাড়ার কারণে আফগান ব্যবসায়ীরা এখানকার বাজারগুলিতে পেঁয়াজ বিক্রি করতে আগ্রহী। যদি পেঁয়াজের দাম এখানে প্রতি কেজি ৩০ টাকা অবধি থাকে তবে আফগানিস্তান থেকে পেঁয়াজ আসতে থাকবে। ব্যবসায়িক সূত্র জানিয়েছে যে আফগানি পেঁয়াজ বর্তমানে অমৃতসর ও লুধিয়ানাতে প্রতি কেজি ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দিল্লির আজাদপুর মান্ডির ব্যবসায়ী ও পেঁয়াজ মার্চেন্ট সমিতির সভাপতি রাজেন্দ্র শর্মা জানান যে, দু-একদিনের মধ্যে দিল্লির মণ্ডিতেও আফগানি পেঁয়াজ আসতে শুরু করবে, যা পেঁয়াজের দাম আরও কমিয়ে দেবে। এদিকে, বুধবার দিল্লির আজাদপুর মান্ডিতে কর্ণাটক থেকে নতুন পিঁয়াজের ফসলের আগমন শুরু হয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলেন যে পাঁচটি ট্রাক (১২৫ টন) নতুন পেঁয়াজ কর্ণাটক থেকে এসেছে এবং আগামী দিনে নতুন পেঁয়াজের আগমন বাড়তে পারে।
বুধবার আজাদপুর মান্ডিতে অনেকদিন পর পেঁয়াজের পাইকারি দাম ৪০ টাকার নিচে নেমিছিল। বাণিজ্য সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, দিল্লিতে পেঁয়াজের পাইকারি দাম গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ৫০ টাকা থেকে কমে গিয়ে কেজিপ্রতি ২৫-৩৮ টাকা দাঁড়িয়েছে। শর্মা বলেন যে বুধবার ৫৫ টি ট্রাক অর্থাৎ ১১০০ টন পেঁয়াজ বাজারে এসেছে। এ ছাড়া, একদিন আগে ১৯০০টন পেঁয়াজ বেঁচে গেছে। এভাবে সরবরাহ বাড়ার কারণে দাম প্রায় সাত-আট টাকা কমেছে।
লক্ষণীয় বিষয় হলো, পেঁয়াজের ফসলের অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা এবং নতুন ফসলের প্রস্তুতিতে দেরি হওয়ার কারণে মহারাষ্ট্র, দেশের বৃহত্তম পেঁয়াজ উৎপাদনকারী রাজ্য, সহ দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতে বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজের দাম তীব্র বৃদ্ধি পেয়েছে। কেন্দ্রীয় ভোক্তা বিষয়ক, খাদ্য ও জন বিতরণমন্ত্রী রামবিলাস পাসওয়ান মঙ্গলবার পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে কালো বিপণন ও পেঁয়াজ সংগ্রহের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা উচ্চারণ করেছেন। তিনি জানান যে সরকার স্টক সীমাবদ্ধতা অভিযোগ বিষয়টিও বিবেচনা করতে পারে।