বাংলা হান্ট ডেস্ক: আজ মহালয়ার পূণ্য তিথি। পুজো আসছে।আজ ভোরে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের গলায় মহালয়ার সুর সূচনা করে দিয়েছে পুজোর। তাল মেলাতে তৈরি বাঙালিও। সারা শরীর জুড়ে মোড়ে মোড়ে এই এত প্রস্তুতি যার জন্য, সেই মায়ের আসার আহ্বান হলো আজ সকালেই। কিন্তু আপনারা কি জানেন মহালয়ার এই পূণ্য তিথির এর বর্ণনা গুলো?
আজকের পূণ্য লোগ্নটির শুধু এক নয়, আছে অনেক ব্যাখ্যা। আশ্বিন মাসে কৃষ্ণপক্ষের অবসান ও দেবীপক্ষের সূচনায় যে অমাবস্যাকে আমরা মহালয়া হিসাবে পালন করা হয়,মনে করা হয় সেই দিনটি হচ্ছে পিতৃপূজা ও মাতৃপূজার সন্ধিলগ্ন।পিতৃপুজো ও মাতৃপুজো উভয়ই করে থাকি আমরা এই দিনে। নিজের পিতা মাতা কে পুজো করার মতন পূণ্য সংসারের আর কিছুতে পাওয়া যায়না। এর মাধ্যমেই আমাদের জীবনের মহান উদ্দেশ্য গুলি পূর্ণ হওয়ার শক্তি আমরা পাই, তাই এই দিনটিকে বলা হয় মহালয়া। তবে শুধু তাই নয়, আছে অন্য ব্যাখ্যা ও।সনাতন হিন্দু ধর্মে কোনও শুভ কাজ করতে গেলে প্রয়াত পূর্বজ-সহ সমগ্র জীব-জগতের জন্য তর্পন করতে হয়, কার্যাদি-অজ্ঞলি প্রদান করতে হয়। তর্পন কথাটার অর্থ মূলত খুশি করা।আমাদের পিতৃপুরুষের আশীর্বাদ লাভ করার জন্যই এই তর্পণ।বলা হয়, ভগবান শ্রী রাম লঙ্কা বিজয়ের আগে এই দিনে এমন তর্পণ এর মধ্যে নিয়ে নিজের পূর্বপুরুষ দের আশীর্বাদ লাভ করেছিলেন। অনন্তকাল ধরে এই ভারতভূমিতে কোটি কোটি মানুষ মহালয়ার পূণ্য প্রভাতে- ‘ময়া তিন গন্ডুষ জল অঞ্জলি দিয়ে স্মরণ করে চলেছেন তাঁদের বিদেহী পিতৃপুরুষ এবং পূর্বপুরুষকে এবং তাদের আশীর্বাদ প্রার্থনা করে চলেছে জীবনে এগিয়ে চলার জন্য।
মহালয়ার একটি পৌরাণিক মত ও আছে। বলা হয় মহিষ রুপি অসুর মহিষাসুর যখন স্বর্গে দেবতাদের অসন্তুষ্ট করে তুলেছিল, ধ্বংস করতে চলেছিল সৃষ্টি , তাকে বোধ করার প্রয়োজন হয় পরলো তখন সকল পুরুষের অবধ্য অসুর কে বধ করার দ্বায়িত্ব নারী রুপি দেবী দুর্গা কে দাওয়া হয় এই মহালয়ার পূণ্য লগ্নেই। তাই এই বিশেষ দিনটি বিশেষ গুরুত্ব রাখে।