পঞ্চাশ টি ট্রেন রুট বেসরকারি করণের পথে।

বাংলা হান্ট ডেস্ক:অনেকদিন ধরেই রেলের বে সরকারি করণের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নাওয়ার কথা ভাবছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।এবার এই বিষয় আজ  নীতিগত সিদ্ধান্ত নিল ভারত সরকার। কোন পরিকল্পনা মেনে এগোলে বেসরকারি সংস্থাগুলি আগ্রহ দেখাবে তা ঠিক করতে উত্তর, মধ্য, দক্ষিণ-পূর্ব, উত্তর-মধ্য, দক্ষিণ-মধ্য ও দক্ষিণ রেলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মন্ত্রকে বৈঠকে বসেন রেল বোর্ডের সদস্য (ট্র্যাফিক)।আজ রেল মন্ত্রকে দিনভর বৈঠকের পরে প্রাথমিক ভাবে ৫০টি রুটকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যে লাইনে ট্রেন চালানোর অনুমতি দেওয়া হবে বেসরকারি সংস্থাকে। রেল মন্ত্রক সূত্র অনুযায়ী,পরিবর্তিত সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষের সুবিধা ও স্বাচ্ছন্দ্য র কথা মাথায় রেখে চলতে এবং যাত্রীদের আধুনিক পরিষেবা দিতে রেলের এই আংশিক বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত।কিন্তু এই বেসরকারি করণের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামার পরিকল্পনা নিয়েছে রেলের ইউনিয়নগুলি। তাদের দাবি, বেসরকারি সংস্থার হাতে রেলের ক্ষমতা গেলে ভাড়া তো বাড়বেই, সঙ্গে ওই সব ট্রেনে ছাড় পাবেন না রেলের কর্মী, প্রবীণ কিংবা দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত যাত্রীরা।  তবে  রেলের একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, উপযুক্ত পরিষেবা পেলে যাত্রীরা সেজন্য পয়সা খরচ করতে নারাজ হননা।অবশ্য এই বিষয় রেল মন্ত্রক জানিয়েছে যে বিষয়টি সম্পূর্ণ হওয়া সময় সাপেক্ষ, এবং একে সম্পূর্ণ ভাবে রূপায়ণ করতে বেশ কয়েক বছর লাগবে।সূত্র অনুসারে বর্তমানে অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ লাইনে ক্ষমতার চেয়ে গড়ে অন্তত দেড়গুণ বেশি ট্রেন চলছে। ফলে এই মুহূর্তে নতুন ট্রেন নামানো কঠিন। রেলের এক কর্তা জানান, ‘‘২০২০-২১ সাল থেকে পূর্ব ও পশ্চিমের পণ্যবাহী করিডর চালু হবে। মালগাড়িগুলি ওই করিডরে যেতে শুরু করলেই মূল লাইনের ব্যবহার অনেক কমবে। একই সঙ্গে ইলাহাবাদে থার্ড লাইন নির্মাণ চলছে। যা চালু হলে দিল্লি-হাওড়া রুটের ট্রেনজট অনেকটাই কমবে। বাড়বে নতুন ট্রেন চালানোর সুযোগ।’’

IMG 20190928 141819

যে রুট গুলোকে বেসরকারি করণের জন্য প্রাথমিক ভাবে ঠিক করা হয়েছে তার  তালিকায় রয়েছে হাওড়া-দিল্লি, হাওড়া-মুম্বই, হাওড়া-চেন্নাই, দিল্লি-মুম্বই, দিল্লি-চেন্নাই ছাড়াও একাধিক স্বল্প দৈর্ঘ্যের আন্তঃশহর রুট। বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে কলকাতা-মুম্বই লোকাল ট্রেন পরিষেবার একাংশও।

সম্পর্কিত খবর