বাংলা হান্ট ডেস্ক : আজ প্রথমা, শুরু হয়েছে বাঙালীর শ্রেষ্ঠ উত্সব দুর্গাপুজোর। মহালয়া শেষ মানেই পুজোর শুরু। কাউন্টডাউন প্রায় শেষের দিকেই। মাত্র পাঁচ দিন পরে মায়ের বোধন হবে। আর এই নিয়ো গোটা বঙ্গে সাজ সাজ রব। বঙ্গ প্রকৃতি হাসছে মায়ের আগমনে। আর এই পাঁচদিনের জন্য বাঙালী অপেক্ষা করে থাকে একটা বছর। তবে এবছর উমা মা যেহেতু ঘোটকে আসছেন তাই বেশ বৃষ্টি বাদলকে সঙ্গে নিয়েই। চলতি বছরে মহালয়ার আগে থেকে আকাশে বৃষ্টির ভ্রুকুটি দেখা গিয়েছে। আজ সোমবারও আকাশের অবস্থা একেবারেই ভালো নয়। আর তাতেই চিন্তার ভাঁজ পড়েছে আম বাঙালীর কপালে। কি হবে পুজো, বৃষ্টি কি হবে, নাকি পুজোর সময়টা ভেস্তেই যাবে এবার, এসব প্রশ্নে দিন কাটাচ্ছেন বাঙালীরা।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর যেহেতু একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা শুরু হয়েছে তাতে আজ অর্থাত্ সোমবার অবধি নিম্চাপ বজায় থাকবে। এবং সারাদিনই প্রায় অল্প বিস্তর বৃষ্টি হবেই। কিন্তু পুজোর দিনগুলিতে আবহাওয়া ঠিক কেমন যাবে তা বলা কার্যত অসম্ভব।তাই পুজোর বৃষ্টি ও আবহাওয়া সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই মঙ্গলবার অবধি অপেক্ষা করতে হবে। তবে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে যদি সোমবারের পর আবারওবঙ্গোপসাগরে কোনো নিম্চাপ তৈরি না হয় সেক্ষেত্রে আর বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। এবং পুজো ভালোভাবেই কাটবে। যদিও এক সপ্তাহ আগেই পুজোর সময় বৃষ্টির পুর্বাভাস জারি করা হয়েছিল।
যেহেতু এবছর লেট রেনি সিজন তাই নিয়মানুসারে 1 সেপ্টেম্বর মৌসুমি বায়ু বঙ্গ থেকে বিদায় নেয়নি। এবং এখনও সক্রিয় রযেছে মৌসুমি বায়ু, আগামী দশ অক্টোবর অবধি তা সক্রিয়ই থাকবে। তাই পুজোর সময় নিম্নচাপ তৈরি হওয়া নিয়ে ফলাও করে কিছু বলাই যাচ্ছে না। রবিবার দিনই রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলা সোমবার অবধি প্রাকৃতিক দুর্যোগ অব্যাহত থাকার পুর্বাভাস জারি করা হয়েছিল। যেহেতু এখনও অবধি একটি ঘূর্নাবর্ত গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের ওপরে বিস্তৃত রয়েছে তাই মৌসুমি বায়ু সক্রিয়ই থাকবে। একইসঙ্গে বঙ্গে প্রচুর জলীয়বাষ্প ঢুকছে বলেই অনুমান। তাই পুজোর আবহাওয়া নিয়ে এখনই কিছুই বলা যাচ্ছে না।