অমিত সরকার: শারদীয় শুভেচ্ছা হিসাবে বাজারে বাংলাদেশের 500 টন ইলিশ? দৌড়াতে হবে ইলিশ প্রেমিকদের। তাছাড়া অনেক সময় বিয়ে অন্নপ্রাশন সবক্ষেত্রে খাওয়া-দাওয়ায় মাংসের পদ রান্না হয়। বঙ্গীয় ধনবানরা ইলিশের কদর কতটা করতেন তা সময় জানা যায়। ঠাকুমার খেতেন প্রসাদী মাংস। খেতেন সুস্বাদু ইলিশ। স্বদেশে ও বিদেশে স্বামীজীর ইলিশ প্রীতির খবর কয়েকবার এসে পড়েছে। বিশেষ করে জীবনের শেষ প্রান্তে দেশে ফিরে এসে পূর্ববঙ্গ ভ্রমণের সময় স্টিমারের সমস্ত নাবিকদের ইলিশ মাছ খাওয়ানোর খবর। নিয়ে ইকোনমিস্ট এখনো হিসাব পত্র করছেন হাজার বারো সালের পর থেকে ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশে।এর পর থেকে বৈধভাবে বাংলাদেশি ইলিশ পশ্চিমবঙ্গের আর পাওয়া যায়নি। কয়েক ধাপ এগিয়ে রোববার প্রথম চালান হয় 24টন ইলিশ ভারতে। প্রতি কেজি ইলিশের মূল্য প্রায় 500 টাকা।
দুপুরে বেনাপোল বন্দর হয়ে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা বাংলাদেশের ইলিশ ঢোকে।শারদীয়ার শুভেচ্ছা হিসেবে 500 টন এর মধ্যে 24 টন এর প্রথম চালান পৌঁছাচ্ছে।
এরই মধ্যে ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বাংলাদেশে। ভারতের পেঁয়াজের সবচেয়ে বড় ক্রেতা বাংলাদেশ। রাজধানী ঢাকার সবচেয়ে বড় কাঁচাবাজার কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম উঠেছে ৮০ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছে, দাম আরও বাড়বে। এ নিয়ে দেশের জনগণের মধ্যে সৃষ্টি হয়ে নানা প্রতিক্রিয়া।
এদিকে, ভারত সরকার সাম্প্রতিক বন্যার ফলে অভ্যন্তরীণ বাজারে যোগান বা সরবরাহ ব্যাহত হওয়ায় পেঁয়াজের দাম ইতিমধ্যে আকাশ ছুঁয়েছে। ভারতের রাজধানী দিল্লিতে পেঁয়াজের দাম উঠেছে কেজিপ্রতি ৮০ টাকা। মুম্বাইতে ৭০-৮০ টাকা। বেঙ্গালুরু ও চেন্নাইতে নিত্যপ্রয়োজনীয় মসলাটি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সংকট নিরসনের জন্য অবশেষে রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিলো ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।