বাংলাহান্ট ডেস্ক: যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে কাশ্মীর সীমান্তে গোলাবর্ষণের ঘটনায় ভারতীয় কূটনীতিককে পাকিস্তান মন্ত্রণালয়। কাশ্মীর সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনায় পাকিস্তানি থাকা ভারতীয় হাই কমিশনারকে তলব করলেন পাকিস্তান।
জানা গেছে গতকাল জাতিসংঘে ইমরান খানের বক্তব্যের পরই জম্মু-কাশ্মীরের নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। জারি হয়েছে কারফিউ।
ভারত জম্মু কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা তুলে দিয়ে কাশ্মীরকে ভারতের কেন্দ্রীভূত করে। তারপর থেকেই চরমে উঠে ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্ক। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কথায় কথায় ভারতকে নিশানা করতে থাকেন। এমনকি ভারতকে হুমকিও দেওয়া হয়। এর আগেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছিলেন ভারত জোর করে জম্মু ও কাশ্মীর কে ভারতের কেন্দ্রীভূত করেছেন। ইমরান খানের দাবি জম্মু কাশ্মীরের লোকেদের প্রতি এক প্রকার জোর জুলুম করেছে ভারত সরকার। এর আগে ইমরান খান বলেছিলেন ভারত সরকারের জম্মু-কাশ্মীর কেন্দ্রীভূত করার ঘটনাকে তিনি আন্তর্জাতিক দরবারে নিয়ে যাবে।
জাতিসংঘের সভায় এদিন ইমরান খান ভারতের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। জাতিসংঘের মঞ্চে দাঁড়িয়ে আন্তর্জাতিক দেশগুলির উদ্দেশ্যে ইমরান বলেন, ‘ আমি কোনো হুমকি দিচ্ছি না। কিন্তু আন্তর্জাতিক মহলকে ভাবতে হবে তারা ১৩০ কোটির বাজারকে তোষণ করবেন, না নিরীহ নিরপরাধ নাগরিকের পাশে থাকবেন। দুটি পরমাণু শক্তিধর দেশ যদি যুদ্ধ করে কার প্রভাব কিন্তু গোটা বিশ্বে পড়বে।’
পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এক প্রকার হুমকি দিয়ে বলেন,তিনি আরো বলেন,বলেন, ‘জম্মু কাশ্মীর থেকে কারফিউ না তুললে রক্তবন্যা বইবে।’ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এর আগে এয়ার স্ট্রাইক এর কথা স্বীকার না করলেও জাতিসংঘের মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলেন, ভারতের হামলায় দশটা গাছ ছাড়া কোনো কিছুরই ক্ষতি হয়নি। ভারতের এক পাইলট ধরা পড়লেও আমরা তাকে মুক্তি দিয়েছি। কিন্তু মোদি সরকার ১৫০ জন জঙ্গী মারা গেছে বলে ভোটের সময় ভারতে অপপ্রচার চালিয়েছেন।’
জাতিসংঘের ইমরান খানের এই বক্তব্যের পরে উত্তর হয়ে উঠেছে জম্মু-কাশ্মীর। ইমন খানের বক্তব্যের সমর্থনে জম্মু-কাশ্মীরের বহু লোক হঠাৎ করে আন্দোলন করতে শুরু করে দেয়। এমনকি তারা আজাদ কাশ্মীরের দাবি করেন।
এছাড়া ইমরান খান কাশ্মীরের মুসলিমদের ভারত সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন জম্মু-কাশ্মীরে থেকে নির্যাতিত মুসলিমরা যাতে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরে। এরপরেই গরম হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে পাকিস্তানের জনসংযোগ অধিদপ্তরের জানিয়েছেন, ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিনা উসকানিতে নিয়ন্ত্রণরেখায় ট্যাংক থেকে গোলা বর্ষণ করেন। ভারতীয় সেনাদের গুলিবর্ষনে এক বৃদ্ধা ও এক কিশোর নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে ভারতীয় মন্ত্রণালয়ের দাবি জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলায় পাকিস্তান দ্বিতীয় দিন মর্টার শেলিং এবং ছোট ছোট অস্ত্রের গুলি চালিয়েছেন। এতে প্রায় ছয় জন আহত হয়েছেন।
পাকিস্তান মন্ত্রণালয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী কে নিজস্ব অবস্থানে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। ভারতীয় সেনাবাহিনীর যদি কোনরকম উত্তেজনা সৃষ্টি করে তাহলে তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন পাকিস্তান।