বাংলা হান্ট ডেস্ক: বাড়িতে বাচ্চা কাচ্চা থাকলেই খাবার নিয়ে সমস্যা থাকবেই। তাদের মনের মত স্বাদ মত খাবার তৈরি করতে করতে নাজেহাল অবস্থা হয়ে যায় অনেকেরই। বাড়িতেই বানানো যাবে, খুব বেশি তেল-মশলা থাকবে না, খেতেও ভাল হবে আবার মূল রান্নার প্রণালীতে খুব সময়ও লাগবে না। বাচ্চা সদস্যের জন্য পছন্দের টিফিন বানাতে বসলে এই ক’টা শর্তই প্রধান হয়ে ওঠে।
তাই তাদের ছোটো খিদে মেটেতে রেঁধে নিন এই চিংড়ি বারবিকিউ।
ছোটরা এমনিতেই একটু বারবিকিউ পছন্দ করে। মাছের মধ্যে চিংড়িও তাদের বেশ প্রিয়। যারা মাছ খেতে খুব একটা পছন্দ করে না, তারাও অনেকেই চিংড়ি খেতে পছন্দ করে।
তাই চিংড়ির কোনও পদ যদি বারবিকিউয়ের আদলে তাদের সামনে পরিবেশন করা হয়, তা হলে টিফিনের প্লেট সাফ হতে সময় লাগে না। কম মশলার বারবিকিউ প্রনের এই রেসিপি তাই বানাতেই পারেন বাড়িতে। সহজলভ্য উপাদান ও কম সময়ের এই রান্না যেমন স্বাদু, তেমনই লোভনীয়।
সম্পূর্ণ অলিভ অয়েলে রান্না এই লেস স্পাইসি বারবিকিউড প্রন ছুটির দিনে বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিতে পারেন ভোজনরসিক খুদেটিকে। রইল রেসিপি।
উপকরণ:
গলদা চিংড়ি: ৬টি
রসুন কুচি: ১ টেবিল চামচ
চিলি ফ্লেক্স: স্বাদ মতো (ঝাল না খেলে দেবেন না)
অলিভ অয়েল: ৩ টেবিল চামচ
ডিমের কুসুম: ৫ টেবিল চামচ়
সরষে গুঁড়ো: এক চা চামচ
রসুন বাটা: আধ চা চামচ
পাতিলেবুর রস: ১ টেবিল চামচ
নুন: স্বাদ মতো।
প্রণালী:
প্রথমে চিংড়ি ভাল করে ধুয়ে জল ঝরিয়ে নিন। এ বার এতে রসুন কুচি, নুন, অলিভ অয়েল ও স্বাদ মতো চিলি ফ্লেক্স দিয়ে মাছ ভাল করে মেখে ফয়েলে মুড়িয়ে নিন। এমন ম্যারিনেটের অবস্থায় ১ ঘণ্টা ফ্রিজে রাখুন।
এ বার একটি পাত্রে ডিমের কুসুম, রসুন বাটা, পাতিলেবুর রস, নুন ও সরষে গুঁড়ো, দিয়ে ভাল করে ব্লেন্ড করে নিন। এটাই ডিপ হিসেবে ব্যবহার করবেন। এ বার বারবিকিউ আভেনকে ১৮০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ১০ মিনিট প্রি-হিট করে নিন। আভেন গরম হয়ে গেলে মাছ ফ্রিজ থেকে বার করে তিন-চার মিনিট ধরে আভেনে রান্না করুন। মাছের গায়ে লেবুর রস ছড়িয়ে একটা প্লেটে ডিপের সঙ্গে পরিবেশন করুন এই পদ। তবে যে কোনও বারবিকিউ পদই গরম গরম খাওয়ার মজা আলাদা। তাই স্কুলের টিফিনে এই পদ না দিয়ে বরং সন্ধেবেলা খুদের হালকা খিদে সামাল দিতে পাতে তুলে দিন লেস স্পাইসি বারবিকিউ প্রন।