বাংলা হান্ট ডেস্ক : অসমের এনআরসি চালু হওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি চালু করা নিয়ে ইতিমধ্যেই জোর দেখাতে শুরু করেছে বিজেপি যদিও তাতে প্রতিবাদ জানিয়েছে তৃণমূল৷ ইতিমধ্যেই হরিয়ানাতেও এনআরসি চালু করার ব্যাপারে প্রস্তাব জানিয়েছেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, তাতেও সায় মিলেছে সে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর তবে এবার উত্তরপ্রদেশ রাজ্যে এনআরসি চালু করার নির্দেশ দিলেন আদিত্যনাথ যোগীর প্রশাসন৷
মঙ্গলবার বাংলাদেশি এবং অন্যান্য বিদেশিদের শনাক্ত করে দেশ থেকে বিতাড়িত করার এবং নির্বাসন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ রাজ্যের মানুষের সুরক্ষার স্বার্থে এবং রাজ্যের সুরক্ষার স্বার্থে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের মহানির্দেশক সমস্ত জেলা পুলিশ প্রধানকে চিঠি দিয়ে এ কথা জানিয়েছেন৷ তাই যে ভাবে বাংলাদেশি এবং অন্যান্য বিদেশিদের শনাক্ত করে রাজ্য থেকে বিতাড়িত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাতে অসমের এনআরসি র ছায়া দেখছেন অনেকেই৷ তাই তো উত্তর প্রদেশের বাঙালি সংগঠনগুলির এক সদস্য এটি বিজেপির চক্রান্ত বলে মন্তব্য করেছেন৷
যদিও পুরোপুরি এনআরসি ঘোষণা হয়নি কিন্তু যোগীর রাজ্যে পুলিশের এই ঘোষণায় অসমের ছায়াই দেখছেন রাত জেরে বাসিন্দারা৷তাই অসমের নাগরিক পঞ্জিকা থেকে যেমন উনিশ লক্ষ মানুষ বাদ পড়েছেন সেই আতঙ্কই গ্রাস করছে রাজ্যের বাসিন্দাদের৷ তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে বাংলা থেকে যে সমস্ত শ্রমিকরা রাজ্যের বিভিন্ন বস্তিতে এবং বাড়ি ভাড়া করে থাকেন তাদেরকেই টার্গেট করেছে রাজ্য পুলিশ৷ তাই এবার প্রতিটি নাগরিকের সমস্ত নথি যাচাই করে দেখা হবে এবং পর্যবেক্ষণ করা হবে বলে সূত্রের খবর৷ একই সঙ্গে নজর রাখা হচ্ছে জাল দলিলে প্রস্তুতকারকদের ওপর৷ তাই নির্মাণ সংস্থার মালিকদের তাঁদের শ্রমিক নথিপত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷
উল্লেখ্য কয়েক মাস আগে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ যোগী অসমের এনআরসি র ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশে এনআরসি চালু করার ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিয়েছিলেন, তাই উত্তর প্রদেশ পুলিশের এই ঘোষণার আড়ালে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে পুড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না৷ তবে যে ভাবে প্রতিটি রাজ্যে এনআরসি চালু নিয়ে বিজেপির আগ্রাসী মনোভাব নিয়েছে তাতে যথেষ্টই আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ জন৷