বিগত কিছু দিনের ভারী বর্ষায় বিহারের অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে পড়েছে। বন্যার মতো পরিস্থিতির মধ্যে পাটনা সহ ১৫ জেলায় রেড এলার্ট জারি করে দেওয়া হয়েছে। বন্যায় মৃত্যু সংখ্যা ২৯ পার হয়েছে। প্রশাসনের উপর সরকারের ক্রোধ আকাশ ছুঁয়ে গেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় লোকজন বিহার সরকার ও নেতাদের গালি গালাজ দিতে শুরু করেছে। কিন্তু নেতাদের উপর অভিযোগ তুলে যে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয় তার এক জ্বলন্ত প্রমান সামনে এসে গেছে। পাটনার রাজেন্দ্রনগর থেকে এমন খবর আসছে যা সকলকে চিন্তা করতে বাধ্য করবে।
পাটনার রাজেন্দ্রনগরে NDRF এর টিম রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার মোদী ও উনার পরিবারকে উদ্ধার করেছে। জানিয়ে দি, এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে সুশীল কুমার মোদী তার পরিবারের সাথে বিগত ৩ দিন ধরে বাড়ির মধ্যে আটকে ছিলেন। শুধু এই নয়, বিহারের পূর্ব মুখ্যমন্ত্রীদের বাড়িতেও বন্যার জল ঢুকে গেছে। পদ্মভূষণ প্রাপ্ত গায়িকা সারদা সিনহাও বন্যার জলে আটকে ছিলেন যিনি উদ্ধারের জন্য ডাক দেন। অর্থাৎ স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে পরিস্থিতি সরকারের হাতে থাকলে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী কখনো বাড়িতে ৩ দিন আটক থাকতেন না। তাই নেতাদের গালি গালাজ বা একে অপরের উপর অভিযোগ না তুলে একসাথে সমস্যার সমাধানে কর্ম করা সবথেকে উত্তম কাজ হবে।
বিহার সরকার নিজের মতো করে রাজ্যের মানুষকে সাহায্য করার সমস্ত প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। কেন্দ্র সরকারও হেলিকপ্টার, পাম্প ইত্যাদি প্রেরণ করে মানুষকে উদ্ধার করার কাজে নেমেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পাশাপাশি রাজ্যগুলির সাথে সম্পর্ক বজায় রেখে সাহায্য নেওয়ার কথা বলেছেন। একই সাথে কেন্দ্র সরকার সমস্থ রকম সাহায্যের জন্য পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছে। বন্যা আসার আগে বিহারে একেবারে শুকনো শুষ্ক পরিস্থিতি ছিল। কারোর ধারণা ছিল না যে, হটাৎ বন্যার পরিস্থিতি উৎপন্ন হতে পারে। রাজনৈতিক দিকে লক্ষ করা যাচ্ছে শাসন ও বিরোধী উভয় পক্ষ একসাথে হাত মিলিয়ে জনগণের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে।
কিছুজন সোস্যাল মিডিয়ায় সরকার ও প্রশাসনকে গালি গালাজ দিচ্ছে, তাদের অবশ্যই এটা বোঝা উচিত যে প্রকৃতির মুডের সামনে কারোর নিয়ন্ত্রণ কাজ করে না। প্রশাসনের হাতে সবকিছু থাকলে উপমুখ্যমন্ত্রীকে উদ্ধার করতে ৩ দিনের সময় নিশ্চয় লাগতো না। বামপন্থী শাসিত রাজ্য কেরলে বন্যার সময় যেভাবে পুরো দেশ এক হয়েছিল, বিহারের ক্ষেত্রেও এমনটা হওয়া উচিত। কিন্তু বিহারের বন্যায় কিছুজন রাজনৈতিক স্বার্থ পূরণ করতে নেমে গেছে।