যোগী সরকারের বড়ো উদ্যোগ: প্লাস্টিক থেকে ডিজেল উৎপাদনের জন্য প্ল্যান্ট স্থাপন করা হলো মথুরায়।

দেশ এবার নতুন দিশা পেতে শুরু করেছে। আগে ভারত ঋষি মহাঋষিদের দেখানো পথে চলতো। তাই ভারতীয় সমাজ ছিল রোগমুক্ত সুস্থ ও অর্থিকদিক থেকে সমৃদ্ধি। আবারও সেই পথে এগিয়ে যেতে শুরু করেছে ভারত। সরকারের নতুন পদক্ষেপ অনুযায়ী, প্লাস্টিক দেশ থেকে ব্যান করার জন্য প্লাস্টিকের বিকল্পের ব্যাবহার বৃদ্ধি করা হচ্ছে। উদাহরণ স্বরূপ, সরকার বাজারে প্লাস্টিকের বোতলের বিকল্প হিসেবে বাঁশের তৈরি বোতল লঞ্চ করেছে। একইসাথে কস্টিক সোডার ভয়ানক প্রভাব থেকে রক্ষা করতে গোবর থেকে তৈরি সাবান লঞ্চ করাও হয়েছে।

 

এবার উত্তর প্রদেশে প্লাস্টিক থেকে তৈরি  জ্বালানী ভরাট করবে যানবাহনের ইঞ্জিন। মথুরায় প্লাস্টিক থেকে ডিজেল তৈরি করার পক্রিয়া শুরু হয়েছে। এটি উত্তর প্রদেশের প্রথম প্ল্যান্ট যা প্লাস্টিক থেকে ডিজেল তৈরি করে। বৃহস্পতিবার, প্ল্যান্টটির উদ্বোধন করেন এমপি হেমামালিনী। এই প্লান্টে মথুরা-বৃন্দাবনের পাশাপাশি জেলার নগর পঞ্চায়েত থেকে প্লাস্টিকও ব্যবহার করা হবে। সম্প্রতি, মথুরা সফরকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এমন কিছু মহিলার সাথে আলাপচারিতা করেছিলেন যারা আবর্জনা দিয়ে প্লাস্টিকের বাছাই করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী প্লাস্টিকের ডিজেল থেকে ডিজেল তৈরির প্ল্যান্টের প্রদর্শনও করেছিলেন।

IMG 20191004 WA0135

যমুনাপাড়ের পৌর কর্পোরেশনের ডাম্পিং গ্রাউন্ডে স্থাপিত এই প্ল্যান্টের উদ্বোধন করেন এমপি হেমা মালিনী। প্লান্টের উদ্বোধনের সময়ে সাংসদ সদস্য হেমা মালিনী বলেন, এবার ব্রজবাসী প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করবেন। তিনি সেখানে চারাও রোপন করেন। এই প্ল্যান্টটি প্রতিদিন পাঁচ টন প্লাস্টিকের ডিজেল তৈরি করতে সক্ষম হবে। এর প্রচারের অংশ হিসাবে, কর্পোরেশন অতীতে মহানগরীর কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিকের বর্জ্য সংগ্রহ করেছে। বৃহস্পতিবার এটি ডাম্পিং গ্রাউন্ডে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল।

জানিয়ে দি, যোগী সরকার উত্তরপ্রদেশকে বিকাশের বড়ো গতি প্রদান করতে উৎসাহিত রয়েছে। রাজ্যকে ২০২৫ পর্যন্ত ১ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থব্যবস্থা করে ফেলার পরিকল্পনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।  ২০২০ সালের মধ্যে উত্তরপ্রদেশ ১৫ টি নতুন মেডিকেল কলেজ এবং ২ টি এমস খোলার পরিকল্পনাও করেছেন। যার কাজ শুরু করে দেওয়া হয়েছে। ১ ট্রিলিয়ন ডলার করার জন্য যোগী সরকার গ্রামীন বিকাশে বিশেষ মনযোগ দিচ্ছে। উল্লেখ্য, প্লাস্টিক থেকে ডিজেল তৈরি হওয়ার ফলে বহু ধরণের লাভ পাওয়া যাবে। প্রথমত প্লাস্টিক দূষণ থেকে পরিবেশ রক্ষা পাবে, একইসাথে বাইরে থেকে আসা ডিজেলের নির্ভরতা কমবে। ফলস্বরূপ ডিজেলের দামেও হ্রাস ঘটবে।

সম্পর্কিত খবর