বিয়ের পর শাখা সিঁদুর পরে সংসদে উপস্থিত হয়েই বিতর্কের মুখোমুখি হয়েছিলেন নুসরত জাহান ( Nusrat Jahan), একে তো জৈন পরিবারের ছেলেকে বিয়ে করা তাঁর উপরে কপাল ভর্তি সিঁদুর পরা টাকে কোনও ভাবেই মেনে নেয়নি মুসলিম মৌলবাদীরা৷ যদিও সে সবে কর্ণপাত করেননি অভিনেত্রী তথা সাংসদ বরং চুটিয়ে প্রেম করে বৈবাহিক জীবন কাটাচ্ছেন তিনি৷ তার পর রথ টানাকে কেন্দ্র করে নুসরতকে আবারও সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছিল কিন্তু সেসবকে থোড়াই কেয়ার করে অষ্টমীতে অঞ্জলি দেওয়া থেকে শুরু করে সিঁদুর খেলায় মেতে উঠলেন অভিনেত্রী সাংসদ, জবাব দিলেন মৌলবাদীদের৷ বুঝিয়ে দিলেন যতই বিতর্ক হোক না কেন তিনি পাত্তা দেন না৷
ত্রয়োদশীর দিন আটপৌরে শাড়ি কপালে ভর্তি সিঁদুর পরে চালতাবাগান সর্বজনীন নিয়ে স্বামী নিখিলের সঙ্গে প্রথমবার সিঁদুর খেলায় মেতে উঠলেন বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ৷ লাল সাদা শাড়িতে এবং গা ভর্তি গয়না ও হাতি ছবিতে যেন একেবারে বাঙালি বধূ৷ নিজে ধর্মীয় দিক থেকে আলাদা হলেও স্বামী যেহেতু হিন্দু জনও তাই চলতি বছরের দুর্গাপুজো তাঁর কাছে বেশ স্পেশাল ছিল৷
তার উপরে আবার বিয়ের পরের প্রথম দুর্গাপুজো তাই তো সমস্ত ব্যস্ততাকে দূরে ঠেলে চুটিয়ে পুজোয় আনন্দ করলেন৷ কখনও ঢাকের তালে কোমর দুলিয়ে আবার দশমীতে মা দুর্গাকে বিদায় জানাতে সারলেন বরণ৷ তারপর মহিলাদের সিঁদুর পরিয়ে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানালেন৷
সকলের সঙ্গে যেমন সিঁদুর খেললেন তেমনই স্বামীর সঙ্গে বাদ দিলেন না৷ মা দুর্গার বিদায়ের বিষাদের সুরের মাঝেই নিখিল তাঁর গায়ে আলতো করে সিঁদুর লাগিয়ে দিলেন তার পর শুরু হলেও কোমর দুলিয়ে নাচ৷ যদিও এ বছর তাঁর প্রথম অষ্টমী নয় কারণ এর আগেও তিনি অষ্টমীতে অঞ্জলি দিতে৷
তবে একজন মুসলিম পরিবারের সন্তানের এ ভাবে পুজোয় মেতে ওঠা কোনও ভাবেই মেনে নেয়নি মুসলিম মৌলবাদ দিয়া৷ তাই তো সমস্ত মৌলবাদীদের মুখের ওপর কটাক্ষের জবাব দিয়ে নুসরত জাহান বলেন, তিনি বিতর্কে কান্দার না তবে এ ভাবেই সিঁদুর খেলায় অংশগ্রহণ করতে পেরে বেশ খুশি৷