অর্পিতা লাহিড়ী: শেষ হয়েছে শারদ বন্দনা, ছানাপোনা নিয়ে মা উমা কৈলাশে ভোলা মহেশ্বরের সংসারে পাড়ি দিলেও রয়ে গিয়েছেন মা লক্ষী। কোজাগরী পূর্ণিমায় ধন,সম্পদ বৃদ্ধির আশায় গৃহস্থ বাঙালি দেবীর আরাধনায় মেতে উঠবেন। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মা- র আরাধনা গৃহস্থের ঘরে। বারোয়ারি মন্ডপ গুলোতেও দুর্গা পুজোর পর খুব অনাড়ম্বর ভাবেই সারা হয় লক্ষীপূজা।
তবে এখানেই ব্যতিক্রম হাওড়া জেলার আমতা বিধানসভা কেন্দ্রের খালনা গ্রাম। লক্ষীগ্রাম নামেই পরিচিত। চলতি বছরেও এই গ্রামে প্রায় ৪০ টি বারোয়ারী পুজা৷ হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায় আমতার এই অঞ্চল অত্য বন্যাপ্রবন।
তাই আজ থেকে প্রায় দেড়শো বছর আগে দেবীর কৃপালাভের আশায় চারুময়ি! লক্ষীর পুজা শুরু করেন স্থানীয়রা যা রুপ পেয়েছে বারোয়ারী কোজাগরী আরাধনায়।এখানে দুর্গাপূজার আনন্দ ফিকে সব আনন্দ তোলা থাকে লক্ষীপূজার জন্য।
তিনদিনের এই উৎসবে মেতে ওঠে গোটা খালনা। হরিসভাতলা, বাজার, সহ বিভিন্ন এলাকায় থিমের নজর কাড়া মন্ডপ ও প্রতিমা। তার সঙ্গে রয়েছে মেলা।
চলতি বছরে মোট ৪০টি বারোয়ারী পুজার আয়োজন করা হয়েছে। আমরা সবাই, শান্তি সংঘ, হরিসভা তলার একাধিক বারোয়ারী পুজার থিম ও প্রতিমা রীতিমতো নজর কাড়া।
আমরা সবাই এর মন্ডপ সজ্জার বিষয় বল্লাল সেনের ঢিপি। সীতার পাতাল প্রবেশের মধ্যেই মা লক্ষীর আগমন। তিনদিনের এই লোকউৎসবে প্রায় ২ লক্ষ দর্শনার্থীর আগমন ঘটে।