বাংলা হান্ট ডেস্ক: সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে রাজ্যপাল কে, সে নিয়ে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ বিজেপির গান্ধী সংকল্প যাত্রায় বেরিয়ে গতকাল বেলদা থানার খাকুড়দায় পথসভা করেন তিনি৷ সেখানে বলেন, “রাজ্যপালকে সুরক্ষা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ এটা লজ্জার বিষয়৷ মুখ্যমন্ত্রীরই পুলিশের উপর বিশ্বাস ছিল না৷ আমাদের কী করে থাকবে৷” শুধু তাই নয় এদিন পুলিশকেও আক্রমণাত্মক সুরে কটাক্ষ করেন দিলীপ, তিনি বলেন, “পুলিশ তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে গিয়ে বাসন মেজে দিচ্ছে৷ কাপড় কাচছে৷ পাড়ার ছিঁচকে চোর পুলিশের গাড়িতে ঢিল মারে৷ থানায় গিয়ে পেটায়৷ আর পুলিশ লুঙ্গি পরে দৌড় দেয়৷”
উল্লেখ্য, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় বাবুল সুপ্রিয় সাথে পড়ুয়াদের ধস্তাধস্তি মারামারির ঘটনা সকলেরই জানা এই ঘটনায় এক অন্যতম ভূমিকা পালন করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সেদিন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাবুল সুপ্রিয় কে বার করে এনেছিলেন রাজ্যপাল তারপর থেকে এতদিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পা রাখেননি জগদীপ বাবু।
সেদিনের ঘটনার পর গতকাল ফের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে পা রাখলেন আচার্য জগদীপ ধনখড়। কিছুদিনের মধ্যেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে উজ্জাপিত হতে চলেছে সমাবর্তন উৎসব। এই সমাবর্তনে কাদের কাদের ডিলিট-ডিএসসি দেওয়া হবে, তার বিশদে আলোচনা করতে গতকাল কোর্ট মিটিং ডাকা হয় যাদবপুরে। সেই মিটিংয়ে যোগ দিতেই বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন আচার্য ধনখড়।
কিন্তু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে আবার একবার বিতর্কে জড়ান রাজ্যপাল। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্ট মিটিং কে কেন্দ্র করে চরমে ওঠে জটিলতা। সমাবর্তনে কাদের ডিলিট-ডিএসসি দেওয়া হবে? সূত্রের খবর, প্যানেলের সিদ্ধান্তের সঙ্গে প্রথমে ‘সহমত’ হননি আচার্য ধনখড়। কর্তৃপক্ষের তৈরি তালিকা নিয়ে নিজের মত জানাননি রাজ্যপাল। কিন্তু অধ্যাপকরা দাবি করেন, রাজ্যপাল যাতে বৈঠকেই নিজের মত জানান। পরে কর্তৃপক্ষ মনোনীত ৪টি নামেই সম্মতি জানান আচার্য ধনখড়।
উল্লেখ্য, রাজ্যপালের যাদবপুরে আগমন যাতে সুন্দর এবং সুষ্ঠভাবে ঘটে তার জন্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজের তরফেই নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। অন্যদিকে আবার সাদা পোশাকে কলকাতা পুলিশ মোতায়ন চারিদিকে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানান যে তারা পুলিশ ডাকছে না, কিন্তু পুলিশ নিজের ইচ্ছায় কিছু করতে চায় করতে পারে। উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা পাওয়ার পর এই প্রথম যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এলেন রাজ্যপাল। ২ নম্বর গেট দিয়ে আজ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করে রাজ্যপালের কনভয়। উপাচার্য সুরঞ্জন দাস অরবিন্দ ভবনে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান।
দলের মধ্যেই অভিষেককে কোণঠাসা করছেন কে? সামনে বিস্ফোরক অভিযোগ…