গত মাসে দিল্লির আইপি পার্কের কাছে গোয়ায় এক কিশোরীকে গণধর্ষণ এর খবর এসেছিল। মামলার প্রধান আসামি আবদুল খালিদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রায় ৪ হাজার লোককে জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্ত শেষে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লির ডিসিপি চিন্ময় বিশ্বওয়াল এ তথ্য জানিয়েছেন। মামলার অপর আসামি মুন্না বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, আসামি আবদুল কালে খান এলাকায় লুকিয়ে ছিল। প্রায় চার হাজার লোককে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে পুলিশ তার কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়।
আব্দুল কট্টর জেহাদী মানসিকতার বলে জানা গেছে। মেয়েটিকে ধর্ষণের পর সে নিজের দাঁড়ি কেটে নেয় এবং আত্মগোপন করে। আব্দুল মথুরা রোডের দিল্লী পাবলিক স্কুল থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। পুলিশ এখন আবদুলের অন্য সহযোগী মুন্নার সন্ধান করছে। ধর্ষণ এর ঘটনাটি ১৬ সেপ্টেম্বরের। গোয়া থেকে দিল্লী ঘুরতে আসা যুবতীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছিল আব্দুল ও তার সাথীরা। এরপর পলিশের কাছে অভিযোগ পৌঁছাতে তারা আত্মগোপন করে।
যুবতী রাতে সারাই কালে খানের কাছে অবস্থিত ইন্দ্রপ্রস্থ পার্ক বাস স্টপে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এদিকে আবদুল খালিদ ও মুন্না তাকে বাসস্টপের পেছনের গুল্মে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। যুবতী বিরোধ করার চেষ্টা করলে আব্দুল মারধর করে। যুবতীর চিৎকার শুনে এক বাইক আরোহী ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। তখন আবদুল ও তার সাথী পালিয়ে যায়। বাইক আরোহী পুলিশকে ফোন করে ঘটনার সূচনা দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে একটা গামছা পেয়েছিল, আবদুল স্বীকার করেছে যে গামছাটি তার।