বছরে একই স্কুলে তিনবার চুরি! প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে

সৌতিক চক্রবর্তী,বোলপুর,বীরভূমঃ বোলপুর থানার অন্তর্গত বোলপুর ৬ নং ওয়ার্ডের কালীমোহনপল্লী এলাকায় অর্জুনাল নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয়ে মিডডেমিলের সরঞ্জাম চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো। যার জেরে ওই স্কুলে আজ বন্ধ মিডডেমিল। জানা গেছে,এই নিয়ে স্কুলে বছরে তিনবার চুরির ঘটনা ঘটলো।

IMG 20191107 WA0017

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,স্কুলের রাঁধুনি মিতা হাজরা স্কুলে এসে রান্না করতে গেলে দেখে মিডডেমিল রুমের দরজার তালা ভাঙা। রুমে নেই রান্নার সরঞ্জাম সমূহ। তিনি প্রথম এই ঘটনাটি নজরে নিয়ে আসেন। পরে বোলপুর থানায় অভিযোগ করা হয়।

স্কুলের রাঁধুনি মিতা হাজরা জানান,“প্রত্যেকদিনের মতো আজকেও সাকাল ১০ টায় স্কুলে আসি। স্কুলে এসে রান্না করতে গিয়ে দেখি মিডডেমিল রুমের দরজার তালা ভাঙা। খোলা রয়েছে দরজা। দরজার এমন পরিস্থিতি দেখে আমি শিক্ষকা কেয়া দি’কে সমস্ত ঘটনা দেখায়। মিডডেমিলের রুম থেকে চুরি গেছে,রান্নার সমস্ত সামগ্রী। একটি হাঁড়ি, বড় গামলা, লোহার কড়াই, কিছু থালা, গ্যাস সিলিন্ডার সহ চুল্লি নিয়ে চম্পট দিয়েছে চোরেরা।”

অপরদিকে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষকা কেয়া মিত্র বুট জানান, “একবছরের মাথায় তিন,তিন বার চুরি গেছে আমাদের স্কুল থেকে। প্রথমে ৩ লক্ষ্য ৫০ হাজার টাকা জিনিস চুরি গেছিলো। তখন একটি ডেস্কটপ,পড়ুয়াদের পঠন পাঠন সুবির্দাথে প্রজেক্টর ইত্যাদি। কিন্তু এই ঘটনার পরেও আজ আবার সেই একই ঘটনা ঘটলো। আগেরবার চোর ধরা পড়ে ছিল এবং বোলপুর থানার তরফ থেকে উদ্ধার করেছিল কিছু বাসন পত্রও। আজকের এই চুরির কারণে প্রায় ১৫০ জন ক্ষুদে পড়ুয়ারা খেতে পাবে না মিডডেমিল। এই স্কুলে অনেক বাচ্চা মিডডেমিলের খাবার খেয়ে থাকে। কারণ দুপুরে দিকে বাবা ও মা কাজে থাকার কারণে রান্না হয় ন। তাই তাদের স্কুলের মিডডেমিলই ভরসা। কিন্তু এই এই ঘটনার পর আজ বাচ্চা দেরকে ড্রাই ফুড দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। পুলিশ যদি একটু সজাগ হয় তাহলে এই ঘটনা বারবার ঘটে না।বোলপুর থানাতে অভিযোগ করেছি। ওনারা তদন্তে নেমেছেন।পাশাপাশি আমি বোলপুর মহকুমা শাসক ও বিদ্যালয় পরিচালক কমিটিকে গোটা বিষয়টি জানিয়েছি। একই সঙ্গে এই দায়িত্ব থেকে সরে আসতে চাইছি।”

কিন্তু বছরে তিনবার এই চুরির ঘটনায় অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন প্রশাসনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে।

সম্পর্কিত খবর