বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অযোধ্যাতে (Ayodhya) রাম মন্দিরের (Ram Temple) নির্মাণ হোক, এর জন্য কয়েক দশক ধরে রাম ভক্তরা অপেক্ষায় আছে। আর গতকাল সেই অপেক্ষার অবসান ঘটে। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ আদালত (Supreme Court) জানিয়ে দেয় যে, বাবরি মসজিদ মন্দির ভেঙেই বানানো হয়েছিল। আর সেই জন্য ওই জমিতে এবার রাম মন্দির নির্মাণ হবে। তবে মুসলিমদেরও নিরাশ করেনি সুপ্রিম কোর্ট। তাঁদের অযোধ্যাতেই ৫ একর জমি দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাম মন্দির নির্মাণের ঘোষণা হওয়ার পর দেশের প্রতিটি মানুষ যেমন খুশি হয়েছেন, তেমনই জবলপুরের ঊর্মিলা চতুর্বেদী (Urmila Chaturvedi) খুব খুশি হয়েছেন।
কারণ ঊর্মিলা রাম মন্দিরের সংকল্প নিয়ে ১৯৯২ সাল থেকে উপবাস করছেন। এখন ওনার এই সংকল্প সম্পূর্ণ হয়েছে। বিগত ২৭ বছর ধরে উপবাস করা ঊর্মিলা এখন ৮৭ বছরের হয়েছে। কিন্তু ওনার সংকল্প এখনো দৃঢ়। উনি জানান, উপবাসের পিছনে ওনার একটাই লক্ষ্য ছিল, আর সেটা হল অযোধ্যাতে রাম মন্দির হওয়ার নিজের চোখে দেখা। এবার ওনার এই ইচ্ছে পূর্ণ হতে চলেছে। ৮৭ বছরের ঊর্মিলা চতুর্বেদী ১৯৯২ সাল থেকে অন্ন মুখে নেননা। জবলপুরের বিজয় নগর এলাকার বাসিন্দা ঊর্মিলা চতুর্বেদী জানান, বিতর্কিত সৌধ ভাঙার সময় দেশে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। দেশ রক্তাত্ত্ব হয়। হিন্দু-মুসলিম ভাইয়েরা একে অপরের রক্ত বইয়ে দেয়। এসব দেখে আমি খুব হতাশ হয়ে পড়ি। আর সেই দিনই আমি সংকল্প নিই যে, এবার মুখে অন্ন তখনই তুলব, যখন অযোধ্যাতে রাম মন্দির নির্মাণ হবে।
ঊর্মিলা জানান, ২৭ বছরের উপবাসের পর উনি সফলতা পান। এই ২৭ বছরে উনি অনেক সমস্যার সন্মুখিন হয়েছে। উপবাসের সংকল্প নেওয়ার জন্য উনি নিজের পরিজন আর সমাজের থেকে অনেক দূর হয়ে যান। অনেকেই ওনার এই উপবাস শেষ করার জন্য চাপ দেয়। আবার অনেকেই ওনার উপবাসের জন্য মজাও করেন। কিন্তু কিছু কিছু মানুষ ওনাকে খুবই সমর্থন করেন, আর সার্বজনীন মঞ্চে ওনাকে সন্মান জানান। শুধুমাত্র কলা আর চা খেয়ে দীর্ঘ ২৭ বছর কাটানোর পর ঊর্মিলা চতুর্বেদী এবার নতুন উৎসাহের সাথে অযোধ্যাতে রাম মন্দির নির্মাণ সম্পূর্ণ হওয়ার প্রতিক্ষা করবেন।