বাংলা হান্ট ডেস্ক : মন্দির নির্মাণ আগে হয়েছিল নাকি মসজিদ?বিতর্কের উত্তর যদিও এখনও মেলেনি তবু শনিবার সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে অযোধ্যার ওই বিতর্কিত জমিতে রামমন্দির নির্মাণের রায় দেয়া হয়েছে। রাজধানীর সঙ্গে সঙ্গেই রাম মন্দির নির্মাণের তোড়জোড় শুরু হয়েছে জোর কদমে, ইতিমধ্যেই অযোধ্যায় পৌঁছেছে রাম লেখা ইট। তবে রাম মন্দির ঠিক কেমন হবে তা নিয়ে কিন্তু জল্পনার শেষ নেই।
মন্দিরের রূপরেখা সম্পর্কে কিছু না বলা হলেও অযোধ্যার মন্দির নাকি শুধুমাত্র পাথরের ওপর খোদাই করে তৈরি করা হবে যেখানে সিমেন্ট বালি ইট কিছুই লাগবে না আর এ ভাবেই তৈরি করতে গেলে পাঁচ বছর সময় লেগে যেতে পারে বলে মনে করছে বিজ্ঞানীরা। যদিও মন্দিরটি ঠিক কী ভাবে তৈরি হবে তা নিয়ে তিন দশক ধরে অযোধ্যার রাম জন্মভূমি নিবাসের কিছুটা দূরেই হচ্ছে ওয়ার্কশপ।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফ থেকে বহুদিন আগে থেকেই রাম মন্দিরের কাঠামো তৈরির কাজ চলছে। তাই তো কাঠ দিয়েই মন্দিরের কাঠামো বানাচ্ছে কর্মশালার কর্মচারীরা। 1992 সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর থেকে মন্দির নির্মাণের কাজ নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করা হলেও কাজ কিন্তু থেমে যায়নি।
সুপ্রিম কোর্টের রায়দানের জনক কিছুদিনের জন্য কর্মশালার কাজ বন্ধ থাকলেও আবারও শুরু হয়েছে। তবে পাথর কেটে যেভাবে মন্দিরের অংশ তৈরি করা হচ্ছে তাতে মন্দির চত্বর আনতে লাগবে আড়াই মাস এমনটাই মনে করছেন ওই ওয়ার্কশপের সুপার ভাইজার অন্য ভাই সম পুরা। তবে দেশের শীর্ষ আদালতের তরফ থেকে যেভাবে ট্রাস্ট তৈরির মাধ্যমে মন্দিরের রূপরেখা গঠন করার জন্য নির্দেশ দেওযা হয়েছে তাতেও কিন্তু বেশ খানিকটা সময় চলে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।