পূর্ণ নয় আংশিক নোট বন্দি! প্রাক্তন অর্থ সচিবের গলায় সেই সুর,২০০০ এর ভবিষ্যৎ কি!

Published On:

 

বাংলা হান্ট ডেস্ক : সেদিনটি ছিল 2016সালের 8 নভেম্বর হঠাৎ দেখা গেল রাতে অন্ধকারের মধ্যেই লাইন দিয়েছে শতাধিক জনতা। সামনে লম্বা লাইন দেখে স্তম্ভিত অনেকেই। সেগুলো টিভির চ্যানেল দেখল খবর এর ঘনঘটা। চারিদিকে লম্বা লাইন। শুরু করেছে টাকা তোলার হিড়িক। কিন্তু কারণ জানতেই অবাক অনেকে। কারণ মদি নাকি ঘোষণা করেছেন নোট বন্দির মত এক প্রকল্প। কি এই নোট বন্দি? সে নিয়ে প্রশ্ন ঘোরাফেরা করতে থাকলো জনসাধারণের মনে.। চারদিকে শুরু হল হৈ হট্টগোল। এরপর হয়রানি। তারপর আন্তর্জাতিক থেকে সামাজিক সমস্ত মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ল সেই খবর। বহুদিন পেরিয়েছে দু বছর অতিক্রান্ত সে নোট বন্দির ইতিহাসের ক্ষত আজও অমলিন।


গত ৩১ অক্টোবর নিজের আইএএস পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন সুভাষ। তার অব্যবহিত পরেই নিজের ব্লগে তিনি জানান, ২০০০ টাকার নোটের একাংশ এই মুহূর্তে প্রচলন অর্থাৎ ‘সারক্যুলেশন’-এ নেই। এই শুনে অবাক হবেন না কিন্তু। এটা হয়তো গুজব নাও হতে পারে। সেগুলোকে ধীরে ধীরে মজুত করে রাখা হচ্ছে। বর্তমানে লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহারও হচ্ছে না এই অঙ্কের নোট। তাহলে কি আংশিক নোট বন্দি করতে চলেছে? সুতরাং নাগরিক জীবনে কোনও রকম সমস্যা সৃষ্টি না করেই এই নোটগুলোর নোটবন্দি করে ফেলা সম্ভব বলে জানিয়েছেন সুভাষ। এই নোট বন্দির পিছনে বর্তমান সরকার যে কারণগুলি দেখিয়েছিলেন তার মধ্যে অন্যতম ছিল কালো টাকা প্রতিরোধ এবং আতংবাদি দের হাতে টাকা না পৌঁছানোর এক ফন্দি। নিজের ব্লগে ‘আ নোট অন পলিসি… উইথ গুড ক্যোয়ালিটি অফ লাইফ ফর অল হার পিপল’ শীর্ষক এই প্রবন্ধে সুভাষ আরও জানিয়েছেন, ২০০০ টাকার নোট ব্যাঙ্কে জমা দেওয়ার কথা কাউন্টার থেকে বদলি না নিয়ে।

X