বাংলা হান্ট ডেস্ক: রাজ্যের গাঙ্গেয় সমভূমি প্রায় তছনছ করে দিয়েছে বুলবুল। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বহু এলাকা। সোমবার কাকদ্বীপে ত্রাণ-পুনর্বাসনে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খতিয়ে দেখেন ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ। এদিন বুলবুলের প্রভাবে মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষদের জন্য একাধিক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় স্থানীয়দের ১০০ দিনের কাজে লাগানোর পরামর্শ দেন নেত্রী। বলেন “বেকার ছেলে মেয়েরা ১০০ দিনের কাজে দিন পিছু ১৯০ টাকা করে পেলে খুশি হবে।”
প্রসঙ্গত, বুলবুল দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকা গুলির মধ্যে আজ বেশ কিছু এলাকা পরিদর্শন করে দেখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ মুখ্যমন্ত্রী তাঁর অন্যান্য সমস্ত কর্মসূচিকে বাতিল করে দিয়ে কাকদ্বীপে যান তিনি৷ এমনকি আকাশপথে নামখানা বকখালি পর্যবেক্ষণ করেন তিনি। তারপর কাকদ্বীপ একটি প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দেন মমতা।
ঘূর্ণিঝড় বুলবুল নিয়ে তৎপর রাজ্য যে কোনো রকম অসুবিধা সাহায্যের হাত বাড়াতে প্রস্তুত রাজ্য সরকার। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিক বৈঠক থেকে বলেন, “ঘূর্ণিঝড়ে বহু বাড়ি নষ্ট হয়ে গেছে। পাকা ধান ও পান বরোজের ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে ২১টি সাবস্টেশন ভেঙে গেছে। বিদ্যুৎ আসতে ৭ থেকে ১০ দিন সময় লাগবে।” শুধু বিদ্যুৎ নিয়ে নয় এদিন ত্রাণ নিয়েও কাকদ্বীপের বৈঠকে নিজের বক্তব্য পেশ করেন মমতা।
উল্লেখ্য সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বুলবুল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় বহু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে৷ এমনকি বেশ কয়েক জনের মৃত্যু হয়েছে ঘটনাচক্রে৷ কলকাতায় তৃণমূলের হেড অফিস নবান্নের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে শুধুমাত্র উত্তর ২৪ পরগনাতেই মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের৷ এছাড়াও কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে একজন করে মারা গেছেন৷ এদিকে বুলবুল নিয়ে রাজ্য যেমন তৎপর অন্যদিকে সমস্ত ক্রিয়া-কলাপ ও রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ২৪ ঘণ্টা নজরে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ এমনকি এই দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতিতে রাজ্যের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে কেন্দ্র। বুলবুল এর জেরে যে সমস্ত মোবাইল টাওয়ার গুলি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাঁর মেরামতের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে৷