রাহুলের ভবিষ্যত্ গগৈয়ের হাতে, খোয়াতে পারেন সাংসদ পদ

বাংলা হান্ট ডেস্ক : সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধিতা করে যে ভাবে রাহুল গাঁধী বিভিন্ন জায়গায় মঞ্চ করে মন্তব্য করেছিলেন তাতে প্রাক নির্বাচন পর্বে এক প্রস্ত হাতাহাতি হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। বেশ কয়েকটি সভায় মোদীকে চৌকিদার চোর হ্যায় বলে আক্রমণ করেছিলেন তিনি। রাফাল দুর্নীতি নিয়ে বলতে গিয়ে মোদীকে আক্রমণ করে চৌকিদার চোর বলায় উত্তপ্ত হয়েছিল কেন্দ্রীয় রাজনীতি।Rahul Gandhi

পরে কংগ্রেসের তরফ থেকে চৌকিদার চোর হ্যায় স্লোগান বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল, তবে এই স্লোগান নাকি রাজীব গাঁধীর পুত্রের ভবিষ্যত্ নষ্ট করে দিতে পারে এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ, শুধু তাই নয় রাহুল গাঁধীর ভবিষ্যত্ রয়েছে রঞ্জন গগৈয়ের হাতে। কারণ সুপ্রিম কোর্টের যে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ মামলা রয়েছে তাদের মধ্যে রাহুল গাঁধীর মামলার অন্যতম।

প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের অবসর নেওয়ার আগে , এই মামলার নিষ্পত্তি হবে। রাহুল গাঁধীর অবমাননা মামলায় রাহুল গাঁধী যদি নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন তা সুপ্রিম কোর্ট গ্রহণ করতে পারে আবার নাও পারে, তাই প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এই মামলার রায় যে ভাবে দেবে তাই মাথা পেতে নিতে হবে রাহুল গাঁধীকে।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা অনেকেই মনে করছেন অযোধ্যা মামলার মতোই গুরুত্বপূর্ণ মামলা রাহুল গাঁধীর অবমাননা মামলা। লোকসভা ভোটের সময় বিজেপি নেত্রী মীনাক্ষী লেখি রাহুল গাঁধীর বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে চৌকিদার চোর হ্যায় মন্তব্যের জন্য ফৌজদারি অবমাননার মামলা দায়ের করেছিলেন। যেহেতু দিনের দোষী সব্যস্ত হয়েছিলেন তাই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নিয়ে সে সময় প্রশ্ন উঠেছিল

কারণ নির্বাচন কমিশনের আইনে বলা হয়েছে 2 বছর কিংবা তার বেশি সময়ের হাজতবাস হলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষেত্রে বাধা দেওয়া যাবে।10 এপ্রিল তারিখে রাহুল গাঁধী চৌকিদার চোর হ্যায় মন্তব্য করেছিলেন অন্যদিকে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে রাফাল রায়ের বিরুদ্ধে আদালতে পিটিশন দায়ের করা হয়েছিল, তাই সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রের প্রাথমিক আপত্তি বাতিল করে দিয়েছিল। তাই আপাতত রাহুল গাঁধীর ভবিষ্যত শিকেয় ঝুলছে এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।


সম্পর্কিত খবর