বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সুইস ব্যাংকে (Swiss Bank) জমা ব্ল্যাক মানি (Black Money) নির্বাচনের আগে প্রতিবারই একটা ইস্যু হয়ে ওঠে। সুইজারল্যান্ড চার বছর আগে ভারতীয়দের নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্টের ডিটেলস জড় করা শুরু করে দিয়েছিল। চার বছর হয়ে যাওয়ার পরেও অনেক সুইস ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট আছে, যেগুলো সম্বন্ধে এখনো কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। আর এখন এটাই আশঙ্কা যে, তথ্য না পাওয়ার কারণে সুইস ব্যাংক এই অ্যাকাউন্ট গুলোর পয়সা সেখানকার সরকারকে ট্র্যান্সফার করে দিতে পারে। সুইজারল্যান্ড সরকার ২০১৫ সালে নিষ্ক্রিয় হওয়া অ্যাকাউন্ট গুলোর তথ্য সার্বজনীন করা শুরু করেছে। আর এর জন্য এই অ্যাকাউন্টের দাবিদারদের কিছু প্রমাণ উপলব্ধ করাতে হবে। যদিও কিছু অ্যাকাউন্ট হোল্ডার কোন প্রমাণই দেয়নি। আর বিনা প্রমাণ থাকা ১০ টি অ্যাকাউন্ট ভারতীয়দের বলে জানা যাচ্ছে।
সুইস অথরিটির কাছে উপলব্ধ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিগত চার বছরে এই অ্যাকাউন্ট গুলোর মধ্যে একটিতে কোন ভারতীয় দাবি করেনি। এই নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্ট গুলোর মধ্যে কয়েকটির দাবি করার সময়সীমা আগামী এক মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যেতে চলেছে। আবার কিছু অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে ২০২০ এর শেষ পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্ট গুলোর মধ্যে পাকিস্তানের নাগরিক সম্বন্ধীয় কয়েকটি অ্যাকাউন্টে ওয়ারিস এর দাবি করা হয়েছে। এছাড়াও কয়েকটি সুইজারল্যান্ড এবং কয়েকটি অন্যান্য দেশের নাগরিকদের অ্যাকাউন্টেও দাবি পেশ করা হয়েছে।
ডিসেম্বর ২০১৫ সালে প্রথমবার এই নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্ট গুলোকে সার্বজনীন করা হয়। সূচিতে প্রায় ২৬০০ অ্যাকাউন্টে ৪.৫ কোটি সুইস ফ্র্যাঙ্ক (প্রায় ৩০০ কোটি ভারতীয় টাকা) আছে। ১৯৫৫ থেকে এই টাকায় কোন দাবি করা হয়নি। সুইস ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি বছর এই তালিকায় নতুন করে অ্যাকাউন্ট যুক্ত হচ্ছে। এখন এই তালিকায় প্রায় ৩৫০০ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আছে।
সুইস ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট বিগত কয়েক বছর ধরে ভারতের রাজনৈতিক চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। শোনা যায় যে, অনেক প্রভাবশালী ভারতীয়রা সুইস ব্যাংকে নিজের বেহিসাবি ব্ল্যাক মানি লুকিয়ে রেখেছে। এটাও শোনা যায় যে, ভারতের প্রাক্তন শাসক দলের তরফ থেকেও সুইস ব্যাংকে প্রচুর ব্ল্যাক মানি জমা করা হয়েছিল।