বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উত্তর প্রদেশে (Uttar Pradesh) আড়াই বছরে এটাই প্রথম যে, গোটা দিনে কোন হত্যা, লুঠ, অপহরণ, ধর্ষণ অথবা ডাকাতির ঘটনা সামনে আসেনি। ডিজিপি হেডকোয়ার্টার এর আধিকারিকরা এই পরিসংখ্যান দেখে অবাক হয়ে গেছেন। রাজ্যের ৭৫ টি জেলায় ওই দিন কোন অপরাধই হয়নি। প্রসঙ্গত, অযোধ্যা (Ayodhya) মামলার রায় নিয়ে পুলিশ আগে থেকেই অ্যালার্টে ছিল। ৮ই নভেম্বর রাতে যখন জানানো হয় যে, আগামী দিন সকাল ১০ঃ৩০ নাগাদ অযোধ্যা মামলা নিয়ে রায়দান হবে, তখন পুলিশ আগের থেকে আরও সতর্ক হয়ে যায়। ডিজপি সমস্ত দ্বায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন।
অযোধ্যা মামলার সিদ্ধান্তের দিনে ডিজিপি আগরাতে ছিলেন, সেখান থেকেই তিনি আধিকারিকদের ফনে নির্দেশ দিতে থাকেন। ৮ই নভেম্বর রাত থেকেই গোটা রাজ্যে পুলিশের পেট্রোলিং বাড়িয়ে দেওয়া হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় কড়া নজরদারি চলে। আইজি আইন-শৃঙ্খলা প্রবীণ কুমার আর সোশ্যাল মিডিয়া সেলের এসপি মোহম্মদ ইমরান গোটা রাত ডিজপি হেডকোয়ার্টারে উপস্থিত ছিলেন। ওনাদের সাথে সাথে সোশ্যাল মিডিয়া সেলে কাজ করা সমস্ত অফিসার ‘সাইবার পেট্রোলিং” করছিলেন।
রাজ্যের কন্ট্রোল প্যানেল ১১২তে রাতেই এমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার শুরু করা হয়। এডিজি উত্তর প্রদেশ ১১২ অসীম অরুণ স্বয়ং নজরদারি রাখছিলেন। জেলা স্তরে রাতারাতি এমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার স্থাপিত করে চারিদিকে নজরদারির কাজ শুরু করে দেওয়া হয়। সিদ্ধান্তের দিনে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ নিজে এমারজেন্সি অপারেশন সেন্টারের কর্ম প্রণালী জানতে অপারেশন সেন্টারে উপস্থিত ছিলেন। আর উত্তর প্রদেশ সরকার এবং প্রশাসনের কড়া নজরদারির কারণেই গোটা দিনে উত্তর প্রদেশ অপরাধ শুন্য ছিল।