বাংলা হান্ট ডেস্ক :যে ভাবে লোকসভা নির্বাচনে ঘাসফুলের বড়সড় বিপর্যয় হয়েছিল তার পর কিছুটা হলেও চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল শাসক শিবিরের কপালে। তবে নির্বাচন পরবর্তী সময়ে আসতে আসতে ঘরের ছেলেরা ঘরে ফিরেছে। বেশির ভাগ জেলা এবং পুরসভা ও পঞ্চায়েতগুলি আসতে আসতে তৃণমূলের অধীনে আসতে চলেছে আর এতেই কিছুটা হলেও আশার আলো দেখছে শাসক শিবির। তাই তো একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা উপনির্বাচনকেও পাখির চোখ করছে রাজ্যের শাসক দল।
তাই তো খড়গপুর করিমপুর কালিয়াগঞ্জ এই তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে যোগ্য প্রার্থী দিয়ে এক দিকে যেমন ক্ষমতা দখল করতে চাইছে ঠিক তেমনই খড়্গপুরে বিজেপির শক্ত ঘাঁটিকে স্থির করে দিতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই তো ইতিমধ্যেই নির্বাচনী ইস্তেহার পত্র প্রকাশ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার মেদিনীপুরের জেলা সভাপতি শুভেন্দু অধিকারী নির্বাচনী ইস্তেহার পত্র প্রকাশের মধ্য দিয়ে খড়্গপুর বার্ষিক একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
যদিও এর আগে কোনও রাজ্যেই উপ নির্বাচনের জন্য নির্বাচনী ইস্তেহার পত্র প্রকাশ করতে দেখা যায়নি সে ক্ষেত্রে নজির গড়ল পশ্চিমবঙ্গ। তবে শুধুমাত্র খড়্গপুর বিধানসভার নয় করিমপুর এবং কালিয়াগঞ্জের জন্য আলাদা আলাদা নির্বাচনী ইস্তেহার পত্র প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের শাসক শিবির। খড়্গপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী তথা চেয়ারম্যান প্রদীপ সরকার। প্রদীপ সরকার জয়লাভ করলে এলাকায় কী কী খাতে কী কী উন্নয়ন হবে সেই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য ও নির্বাচনী ইস্তেহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
একই সঙ্গে এলাকার উন্নয়ন থেকে স্বাস্থ্য পানীয় জল নিরাপত্তা ব্যবস্থা সবই ঢেলে সাজানো হবে এমনটাই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে যেহেতু প্রশান্ত কিশোরের টিমের এটি একটি ছোট পরীক্ষা তাই এই পরীক্ষাতেই বাজিমাত করতে নির্বাচনী ইস্তেহার পত্রের প্রতিশ্রুতি টিম পিকে দিয়েছে। তবে লোকসভার মতো যাতে কোনও ভাবেই বিধানসভা উপ নির্বাচনে ভুল না হয় সেই লক্ষ্যে এগোচ্ছে শাসক শিবির