বাংলা হান্ট ডেস্ক: রাজ্যপালের সাথে মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্ক বহুদিন ধরে। তিক্ততার সীমানায় চলে গেছে। কিন্তু এর মাঝেও নিমন্ত্রিত হয়ে রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রী বাড়িতেও গিয়েছিলেন। কিন্তু সম্পর্কের বরফ গললেও শেষ পর্যন্ত তা আবার আগের জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে।দিন রাজ্যপালও মুখর হয়েছেন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘কেউ কেউ আমার সিঙ্গুর যাওয়া নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলছেন। আমি সিঙ্গুর গিয়েছি। হুগলির জেলাশাসককে জানিয়েই গিয়েছি। বর্ধমানেও গিয়েছি জেলাশাসককে বলে। দুর্গাপুরে একটি দলের মহিলা সমর্থকেরা আমার যাওয়া নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। আমি খুব দুঃখ পেয়েছি। যদি আমার যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, তো আমি এ বার সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামে লম্বা সফরে যাব। দেখুন যা ঢাকার চেষ্টা হবে, তা-ই মানুষ দেখতে চাইবে। কেউ কিছু লুকোলে আমি দেখব।’
কিছুদিন আগেই জেলার সফরে গিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর বলেছিলেন, “কেউ কেউ বলছেন আমি নাকি ট্যুরিস্ট। আপনারাই বলুন, আমি কি ট্যুরিস্ট?” এবার বৃহস্পতিবার নবান্নে দাঁড়িয়ে তার জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ দিন তিনি বলেন, “কেউ কেউ সমান্তরাল সরকার চালানোর চেষ্টা করছেন। মনোনীত ব্যক্তি হয়েও সমস্ত সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছেন। বিজেপির মুখপাত্র হিসেবে কারও মুখে কথা শোনা যাচ্ছে। তাকে বলছি, সীমা ছাড়াবেন না।”মুখ্যমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর কথা। তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার নির্বাচিত সরকার, তারা সংবিধান মেনে কাজ করবে। রাজ্য সরকারও নির্বাচিত, তারাও সংবিধানের পরিধির মধ্যে কাজ করবে। কিন্তু যদি সাংবিধানিক প্রধান সংবিধানকে অমান্য করেন তবে সেটাও দেখা উচিত কেন্দ্রীয় সরকারের।”