বাংলা হান্ট ডেস্ক : কানাইয়া কুমার এমন একটা নাম যে একসময় উত্তাল হয়েছিল দেশের রাজনীতি। হ্যাঁ ভারত বিরোধী স্লোগানে কেঁপে উঠেছিল এই যেএনইউ ছাত্রনেতার স্লোগান আর এবার ভোটের প্রচারে না হোক ভোটের আগে এসে আরও প্রচারের আলোয় আসতে চাইছে কানাইয়া কুমার।
এনআরসি-র বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করতে মূলত তাঁকে মুখ করেই শুরু হয়েছে পাহাড় থেকে সাগর যাত্রা। আগে বহুবার মুখ থুবরে পড়েছে তার স্লোগানের সারবত্তা। এনআরসি বিরোধী মঞ্চের সেই যাত্রা নিয়ে চলতি সপ্তাহের শেষেই জেলায় আসছেন কানহাইয়া কুমার। আর তার আশা নিয়ে কোন মহলেই সেরকম বিশেষ সাড়া নেই বললেই চলে। তবে যাদবপুর এবং নেহেরু ইউনিভার্সিটির যে মাত্র বিতর্কিত নেতা বলাই বাহুল্য। আগামী ১৭ নভেম্বর ইটাহারের মাঠে জনসভায় ভাষণ দেবেন কানহাইয়া।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে জনসভাটি ইটাহার হাই স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত হবে বলেই সংগঠকদের তরফে জানানো হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে যে যখন উপনির্বাচনের ঘন্টা বাজতে চলেছে সেই সময় কেন কানাইয়া কুমারের এই আগমন?
ইটাহারের আগে অবশ্য উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়াতে জনসভা করবেন কানহাইয়া কুমার। একাধিক জনসভার রয়েছে তার। কিন্তু এর আগেও জনসভা করে বিশেষ কোন লাভ হয়নি চাকুলিয়ার সভা হবে আগামী ১৬ নভেম্বর। চাকুলিয়া ও পাঞ্জিপাড়াতে সভা করে পরের দিন ইটাহারে সভা করার কথা এই সিপিআই নেতার। ইটাহারের সভায় অন্যতম বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের প্রাক্তন অসামরিক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী তথা সিপিআই নেতা শ্রীকুমার মুখোপাধ্যায়। তবে এর সাথে কোন রাজনৈতিক যোগ নেই বলে মন্তব্য করেছে পার্টির তরফ থেকে
ইটাহারের পর দক্ষিণ দিনাজপুরেও একাধিক জনসভায় যোগ দেওয়ার কথা কানহাইয়া কুমারের। কানহাইয়া কুমার বা শ্রীকুমার মুখোপাধ্যায়ের মতো নেতারা বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবে।
প্রসঙ্গত যে কানাইয়া কুমার বিতরকের কেন্দ্রবিন্দুতে। ভারত বিরোধী স্লোগানে তাকে বারবার সামনে করতে হয়েছে ভারতবাসীর।বেগুসরাইয়ের এক গ্রামে গাড়িতে প্রচার করার সময় গ্রামবাসীদের সম্মিলিত প্রশ্ন ধেঁয়ে এল তাঁর দিকে। প্রশ্ন এল, ‘কোন আজাদি চাই আপনার?’ উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ভারত তেরা টুকরে হোঙ্গে’ স্লোগানের জন্যও কানহাইয়ার জবাব চান বিক্ষোভকারীরা। এমনকী ওই ভিড়ের মধ্যে থেকে কানাইয়ার উদ্দেশে ‘দেশদ্রোহী’ স্লোগানও শুনতে হয়।