অমিত সরকারঃবাবুল সুপ্রিয় তার নির্বাচনী প্রচারে প্রথমে আসেন উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে। সেখানে তিনি সাংবাদিক সম্মেলন করেন এবং রাজ্যপাল কে নিয়ে করা বিতর্ক এর কড়া জবাব দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীকে এ বিষয়ে অনেক ভাবনা চিন্তা করতে বলেছেন। এরপর তিনি সেখান থেকে চলে আসেন হেমতাবাদের বাঙাল বাড়িতে। এবং তারপর বাইক নিয়ে র্যালি করেন। তিনি আসতেই সেখানে জনসংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মতো। সেই পিছনে হাজার হাজার অনুগামী তার সাথে দলীয় প্রচার করেন। এরপর তিনি সোজা চলে আসেন কালিয়াগঞ্জে। সেখানে তিনি সভা করেন। সভায় উঠে আসে একের পর এক প্রসঙ্গ। এখানে তৃণমূলকে একহাত নিতে তিনি ছাড়েননি। এরপর তিনি শুরু করেন এনআরসি নিয়ে তার বক্তব্য। 24 শে মার্চ 1971 এর আগে যারা ছিলেন তাদের ক্ষেত্রে যে নিয়ম ধার্য করা হয়েছিল তার পরবর্তী ক্ষেত্রে সঠিক বিল নিয়ে এসে সেখানে অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা তুলে ধরেন আসাম নিয়ে। বলেন যেখানে থেকে মুসলিমরা সংখ্যালঘু না হলেও শুধুমাত্র ভারতের নাগরিকত্ব নিয়ে চলে এসেছেন। তাদের জন্য এই ব্যবস্থা। তিনি আশ্বস্ত করেন সাধারন নাগরিকদের বলেন এনআরসি তে কোন রকম ক্ষয়ক্ষতি হবে না। সাধারন মানুষদের। হ্যাঁ এর বিরোধিতা করতে তৃণমূলে পথে নেমেছে।
অন্যদিকে রাজনীতির তাওয়ায় রুটি সেকা চলছে এখন উভয় পক্ষের। কিছুদিন আগে সেখানে এসেছিলেন দিলীপ ঘোষ থেকে আরম্ভ করে লকেট চ্যাটার্জি। তখনও বিশেষ বিশেষ জনসভা হয়। এনআরসি প্রসঙ্গ যেমন উত্থাপিত হয়েছে তেমনি তৃণমূলের শাসনামলের একের পর এক ভুল ত্রুটি তারা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন। এই মুহূর্তে রাজ্যপালের সাথে ও সংঘাত চরমে রাজ্যের। সে বিষয়েও বাদানুবাদ হয়েছে। কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই কে কোনরকম ভাবে এক চিলতে জমি ছাড়তে নারাজ বিজেপি। তা হাড়ে হাড়ে বুঝিয়ে দিচ্ছে। যে শুরুটা করে দিয়ে গেছিলেন মুকুল রায় প্রাথমিক বৈঠক করে। সেখানে যেন বীজ বপন করে দিয়েছিলেন একটি জয়ের? আর সেই সময় কতটা আসবে 25 শে নভেম্বর এ ভোট বাক্সবন্দী হবে সেই দলিল ২৮ নভেম্বরই জানা যাবে তার ফলাফল। তবে এদিন মিটিং শেষে কালিয়াগঞ্জ এর স্কুল পাড়ায় যে বিজেপি প্রধান কার্যালয় মা মনসা ভবন থেকে বেরোবার সময় গাড়ি করে ফিরবার পথে হঠাৎ তিনি জনতার ভিড়ে আটকে যান। সেখানে সেলফি তোলার সময় এবং মানুষের উৎসাহ জনতার চোখে পড়ার মতো এক বৃদ্ধাকে দেখে তিনি হঠাৎ গাড়ি থামাতে বলেন। এবং তার শেষ জীবনের স্বপ্ন হয়তো পূরণ করে দেন। ছবি তোলার মাধ্যমে মানুষের প্রতি তাদের ভালোবাসা তা মুহূর্তে মুহূর্তে চিত্র ক্যামেরায় ধরা পড়েছে।