বাংলা হান্ট ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের “আশীর্বাদে” নতুন জীবন পেলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। বুধবার ফেসবুকে সেকথা নিজেই জানিয়েছেন মন্ত্রী। 17 নভেম্বর থেকে SSKM হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে । আজ নিজের একটি ছবি সহ ফেসবুকে মন্ত্রী লিখেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশীর্বাদে আমি নতুন জীবন ফিরে পেলাম।”
উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ SSKM হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের ICU-তে ভর্তি৷ রবিবার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে কোচবিহার থেকে কলকাতা বিমান বন্দরে বন্দরে বিমান বন্দরে বন্দরে নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ নিয়ে আসা হয় SSKM হাসপাতলে। সম্প্রতি জানা গেছে হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের ICU-তে এখন থেকে চিকিৎসারত অবস্থায় রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে হঠাৎ গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। এদিন রাতে তার প্রচন্ড বুকে ব্যথা অনুভব হয়। সাথে সাথেই শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। এরপরই পরিবারের লোক ও স্থানীয় কিছু মানুষ তৎক্ষণাৎ তাকে কুচবিহারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায় মন্ত্রীকে সেদিন রাতেই একটি জীবনদায়ী ইনজেকশন দেওয়া হয়। তবে চিকিৎসকরা জানান দ্রুত তার উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা করা উচিত বলেই তারা মনে করেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি পশ্চিমবাংলায় সাংবাদিক হেনস্থা ও সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ
ঘটনায় মুখ খোলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তিনি বলেন, “সাংবাদিকদের যে ব্যক্তি আক্রমণ করে, সে দলে থাকলে দলেরই ক্ষতি।”
এই সাংবাদিক নিগ্রহের ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে এসেছে। সম্প্রতি এমনই ঘটনার জেরে উত্তরকন্যায় মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হন উত্তরবঙ্গের সাংবাদিকদের যৌথমঞ্চ কনফেডারেশন অব নর্থবেঙ্গল এন্ড সিকিম জার্নালিস্ট। সম্প্রতি সাংবাদিক নিগ্রহের ঘটনায় জর্জরিত হয়েছেন তৃণমূল নেতা কৃষ্ণ দাস। তার এই অসহিষ্ণু ও নির্লজ্জ ব্যবহারের তীব্র নিন্দা করেছেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।
এদিন রবীন্দ্রনাথ মন্তব্য করে বলেন, কৃষ্ণদাস যে সাংবাদিকদের আক্রমণ করেছে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমাদের নিজেদের দলের ভুলত্রুটি শুধরে নেওয়ার ক্ষেত্রে সাংবাদিকরা অপরিসীম ভূমিকা পালন করে। আমরা কখনই সাংবাদিক নিগ্রহ, সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ করিনা৷ জলপাইগুড়ির ঘটনার নিন্দা করি। আমার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি পৌঁছেছে। আমার বিশ্বাস সরকার এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন। কৃষ্ণ দাসের মতো লোক ধরে থাকলে দলেরই ক্ষতি৷ আগামিদিনে যাতে দল এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়, তার জন্য দলের পর্যবেক্ষককে জানাব।”
শুধু তাই নয় এদিন রবীন্দ্রনাথ আরো বলেন, কৃষ্ণ দাস এর কুশপুতুল পড়ানো হয়েছে, ওই ব্যক্তির পরিবার-পরিজন বন্ধু-বান্ধব সকলেই আছেন৷ তারা সকলেই নিশ্চয়ই এখন এই ঘটনাটির ব্যাপারে অব্যাহত। এই ঘটনায় কৃষ্ণ নিশ্চয়ই অপমান বোধ করবে। জীবিত অবস্থায় একজনের কুশপুতুল পোড়ানো হচ্ছে তা মেনে নেওয়া এক প্রকার অসম্ভব। এমন ঘটনা যাতে কেউ না করে তার জন্য সব মানুষের কাছে আবেদন করছি। এবং দলের যাতে কেউ এমন না করে তার জন্য আবেদন করছি৷”