বাংলায় উপনির্বাচনে ঘাসফুলের হ্য়াটট্রিক, পরাজয়ের কারণ নিয়ে রিপোর্ট চাইলেন অমিত

বাংলা হান্ট ডেস্ক : একেই বলে রাখে হরি মারে কে। একেবারেই তাই। তা নাহলে মাত্র ছয় মাসের মধ্যে ছক্কা উল্টে যায়? রাজ্যে বিজেপি আভা দেখা দিতেই বিধানসভা নির্বাচনকে টার্গেট করেছিল বিজেপি। কিন্তু বিধানসভা উপনির্বাচনের ফলই একপ্রকার বুঝিয়ে দিল আশায় মরে চাষা। পশ্চিমবঙ্গের তিন তিনটি বিধানসভা এখন তৃণমূলের দখলে আবারও। এমনকি নিজেদের ঘাঁটি রেলশহর খড়গপুরও হাতছাড়া হয়েছে বিজেপির।mukul roy at bjp office 333b3a76 c370 11e7 a621 6b23f0f703d9

তাই তো একেবারে ক্ষোভে ফুঁসছে বিজেপি। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপানো শুরু হয়েছে। এরই মাঝে হারের কারণ জানতে চেয়েজেলা সভাপতিদের কাছ থেকে রিপোর্ট চাইলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শনিবার রাজ্য বিজেরি শাখায় বিজেপির জেলা সভাপতিদের কাছ থেকে রিপোর্ট জমা পড়েছে। তারপর সেটি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির কাছে পাঠানো হবে। অন্যদিকে রাজ্যে উপনির্বাচনের পরাজয়ের কারণ বিশ্লেষণ করতে আজই বৈঠকে বসছেন রাজ্য বিজেপির নেতৃত্বরা।

বৈঠকেই রাজ্য বিজেপির কমিটিতে রদবদলের বিষয় আলচনা হওয়ার কথা রয়েছে। এবং আগামী বছরের শুরুতেই বিজেপির রাজ্য কমিটিতেো বদল হওয়ার কথাও রয়েছে।আসলে লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে বোশ কয়েকটি কেন্দ্রে একেবারে গো হারান হেরেছিল তৃণমূল। আর সেগুলিতে তৃণমূলের থেকে বেশি ভোটে এগিয়ে ছিল বিজেপি। কিন্তু মাত্র ছয় মাসের মধ্য়ে উলাটপূরাণ।

কালিয়াগঞ্জে যেখানে তৃণমূল লোকসভা ভোটে হেলেছিল ঠিক সেখানেই উপনির্বহাচনে ব্য়াপক সাফল্য় পেয়েছে। অন্যদিকে দিলীপের দূর্গতে কোনো কথাই নেই। করিমপুরের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। হারের অন্যতম কারণ হিসেবে বিজেপি এনআরসিকে তুলে ধরেছে। যদিও তৃণমূল এনআরসি নিয়ে ভুল বুঝিয়েছে বলেই এই অবস্থা এমনটাই বলছেন বাবুল সুপ্রিয়রা। যদিও ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জও নিয়েছেন।

সম্পর্কিত খবর