আজই মারাঠা ভূমে উদ্ধবদের শক্তি পরীক্ষা, প্রমান দিতে হবে সংখ্যাগরিষ্ঠতার

বাংলা হান্ট ডেস্ক : মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিকতার চরম অচলাবস্থা কাটিয়ে অবশেষে বৃহস্পতিবার সরকার গঠন হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে। একইসঙ্গে, কংগ্রেস ও এনসিপির দুই জন করে বিধায়ক মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন।কিন্তু এবার পালা সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমানের।  এমনিতেই সুপ্রিম কোর্টের তরফে বুধবার আস্থা রায়ে দেওয়া হয়েছিল। তাই আগে থেকেই শিবসেনা-এনসিপি ও কংগ্রেস জোটে ১৬৬ জন বিধায়কের সমর্থন ছিল বলে দাবি করেছিল।

তবে এখন তা বেড়ে নাকি ১৭০ হয়েছে। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমান না করতে পারার জন্যই বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ ইস্তফা দিয়েছেন। কিন্তু তাতেও শিবসেনা জোটকে শক্তি প্রদর্শণ করতে ই হবে।আজই মহারাষ্ট্রের বিরেধীদের শক্তি প্রদর্শণের দিন। একপ্রকার ফাঁকা মাঠে গোল দেবে মহারাষ্ট্রের জোট সরকার। বেলা একটা নাগাদ জোট প্রদর্শণ করতে হবে উদ্ধবদের। তদবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমানের জন্য প্রযোজন ১৪৫ জন বিধাযকের সমর্থণ।freepressjournal 2019 11 c28fc2c5 9268 4089 937d 366caa0c2a18 20191128162905 INDIA POLITICS VOTE AFP 1MN6MW

উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রের সরকার গঠন নিয়ে যে চরম নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যা কারোরই অজানা নয়। প্রথমে বিজেপি থেকে মুখ্যমন্ত্রী পদ গ্রহণ করলেও পরে আবারও ইস্তফা দেন। আর এরপর উদ্ধব ঠাকরের রাস্তা পরিষ্কার হয়ে যায়।
অন্যদিকে শক্তি প্রদর্শণের আগে মোদীকে দাদা সম্বোধন করলেন উদ্ধব ঠাকরে। এর আগে শিবসেনার তরফে মোদীর সঙ্গে উধ্বের দাদা ভাইযের সম্পর্ক রয়েছে বলে

ঘষনা করা হয়েছিল। এবার স্বয়ং উধ্ব মোদীক দাদা বলে সম্বোধন করায় কার্যত রাজনৈতিক মহলে জোর গুঞ্জন উঠেছে প্রধানমন্ত্রীকে কি তাহলে শিবসেনা একাত্মতা দেখাচ্ছে। তবে যাই হোক না কেন, বিজেপির প্রতি যে দুর্বলতা একেবারেই কমেনি তা বোঝাই গেল।

সম্পর্কিত খবর