বাংলা হান্ট ডেস্ক : হনুমানের উপদ্রবে গ্রাম বাংলার বেশির ভাগ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। কখনও ছাদে কখনও মাঠে ঘাটে আবার কখনও বাড়ির আনাচে কানাচে রীতিমতো উপদ্রব করে মেলায়। কলা খাওয়া কিংবা খাবার খাওয়া বা দল বেঁধে গোলযোগ বাধানোর কাজটাও করে থাকে হনুমান রায়। তবে এবার সেই হনুমানের হাত থেকে রেহাই পেতে এক অভিনব উপায় বাতলালেন এক কৃষক।
মাঠের খেতের ফসল নষ্ট করার হাত থেকে রেহাই পেতেই কুকুরকে সাজালেন বাঘ। না ঘাবড়াবেন না বাঘের ছাল একেবারেই নয় কলমের কালি ঘষে কুকুরকে তিনি বাঘ বানালেন। কেমন অদ্ভুত কাণ্ডটি ঘটেছে কর্নাটকের তীর্থ হালি এলাকার নারুল গ্রামে। ওই গ্রামেই থাকেন শ্রীকান্ত গৌর নামে এক কৃষক। গ্রামের খেতে ফসল ফলিয়ে কোনওক্রমে দিন চলে। কিন্তু তাঁর পরিশ্রমের ফসল হনুমানের দল এসে নষ্ট করে দিয়ে যাচ্ছে।
কোনও ভাবেই বাঁচানো সম্ভব হচ্ছে না, ফসল ঘরে তোলা তো দূরের কথা আসল ভোলা মাত্রই হনুমানের দল এসে মাঠে দাপট দেখিয়ে সব নষ্ট করে দিচ্ছে আর তাই ফসল বাঁচাতে এই অভিনব ফন্দি আঁটলেন তিনি। যদিও দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টায় এই কাজ সফল হয়েছে, প্রথমেই তিনি হনুমানকে ভয় দেখানোর জন্য একটি বাঘের পুতুল চাষের জমিতে রেখে দিয়েছিলেন কিন্তু তাতেও বিশেষ উপকার হয়নি
আর তাই চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করতেই পুকুরকে বাঘ সাজালেন। কলমের কালি ঘষে কুকুরের গায়ে গড়ানোর দাগ কেটে দিলেন। আর এ ভাবেই সেই বাঘ রুপী কুকুর এখন ওই ক্ষেতের চারিদিকে ঘোরা ফেরা করে, আর তাই হনুমানের দল সেই জমির এলাকায় পা দিতেও ভয় পায়। এই অভিনব উপায় এখন মাঠের ফসল ঘরে আসে শ্রীকান্ত গৌড়ার। সত্যি এমন ভোর থেকেই কুর্নিশ না জানিয়ে আর পারা যায়?